
গাজীপুরে ৬ লাখ ২২ হাজার শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত এটি খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন-এ শরীরে উৎপাদন হয় না। এটি খাদ্য হিসেবে দেহে যুক্ত করতে হয়। আর এ কারণেই জেলার সকল শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের অওতায় আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর সভাকক্ষে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি বিষয়ক এক সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন জানান, ৩৮ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর গাজীপুর জেলায় ১ হাজার ৪’শ ২৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন “এ” ক্যাপসুলটি খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ৫৯ মাসের শিশুরা বয়সের তারতম্যে দুটি ভাগে নীল ও লাল বর্ণের ক্যাপসুল প্রাপ্তির আওতায় থাকবে। কোনো কারণে বাদ পড়া শিশুদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরবর্তী সময়ে খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন “এ” এর অভাব ও প্রাপ্তি নিয়ে ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপন করেন সহকারী সার্জন ডা. রোবানা আফসান। তিনি বলেন, ভিটামিন “এ” মানবদেহে উৎপাদন হয় না। খাদ্যের মাধ্যমে এটি পূরণ করতে হয়। এর জন্য প্রতিদিন খাবারের সাথে ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হয়। ভিটামিন “এ” এর অভববে চোখ ও মানবদেহে নানা ধরণের ক্ষতি হয়ে থাকে।
ওরিয়েন্টেশনে অংশ নেওয়া দি ডেইলী স্টারের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি প্রভাষক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ বলেন, ভিটামিন “এ” ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণের তথ্য প্রত্যেকের অবস্থান থেকে প্রচার করা হলে জনসচেতনতা তৈরী হবে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ নিজ আইডি থেকে পোস্ট দিয়েও এর সফল প্রচার নিশ্চিত করা যায়।
জেলা জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, বক্তব্য দেন জেলা ইপিআই(এক্সপেন্ডেন্ট প্রোগ্রাম অব ইমিউনিজেশন-সম্প্রসারিত টীকাদান কর্মসুচী) সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. আমজাদ হোসেন, সাংবাদিক ইকবাল আহমেদ সরকার, মো. নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
Please follow and like us: