অপরিকল্পিতভাবে নানা স্থাপনা গড়ে উঠায়,পর্যাপ্ত নালা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই গাজীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বছরব্যাপী ধীর গতির কাজের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করেন অধিকাংশ নগরবাসী।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে দেখা যায় ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকা সহ আশেপাশে কোমড় পর্যন্ত পানি। এতে যান চলাচল যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি ভোগান্তিতে অফিসগামী হাজারো মানুষের। পানি বেশি থাকায় চালকেরা রাস্তার গতিপ্রকৃতি পরিমাপ করতে পারছে না।এতেই ঘটছে দূর্ঘটনা। অনেক গাড়ি রাস্তার মাঝে কাত হয়ে পড়ে আছে এতে তৈরী হচ্ছে যানযট। ভোগড়া বাইপাস হতে কোমর পানি মারিয়ে যাচ্ছেন কর্মমুখী মানুষেরা।
কড্ডা এলাকার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে আমার আবদুল্লাহপুর যেতেই হবে। গাড়ী চলছে না তাই হাঁটু পানির মধ্যেই হেঁটে রওনা হয়েছি।
গাজীপুর সিটি কপোরেশনের ৩৫ ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম শাওন জানান,বাড়িতে এখন কেউ অসুস্থ হলে হসপিটালে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এলাকাতেও পানি আটকে আছে হসপিটালের মধ্যেও পানি ডুকে পড়েছে।
মাওনা চৌরাস্তা থেকে আগত মৌসুমী ফল বিক্রেতা আসাদ জানান, সকালে পাইকারি মার্কেট থেকে মৌসুমী ফল কিনেছি, আমার দোকান মাওনাতে। যেভাবেই হোক কোমড় পানি হলেও আমাকে এগুলো নিয়ে দোকানে যেতে হবে ।
হাতে সার্ট-প্যান্ট পড়নে লুঙ্গী পড়ে ভিজতে ভিজতে যাচ্ছেন ফিরোজ আহমেদ শোভন। প্রশ্ন করতেই বলে উঠলেন বেসরকারি চাকরি করি, চাকরি বাঁচাতে কোমর পানি কেন সাতরিয়ে হলেও অফিসে যেতে হবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে তবে আশা করছি দ্রুত এসব পানি সরে যাবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে এবং আরও কাজ চলমান আছে।