এম দুলাল আহাম্মেদ,গুইমারা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি ২নং রাবার বাগান এলাকা থেকে বহুল আলোচিত ফাতেমা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান ও একাধিক মামলার আসামী সজীব ত্রিপুরা(২০)কে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। ৩মার্চ শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাইল্যাছড়ির ২নং রাবার বাগান এলাকায় নিজ বাড়ী থেকে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে।এ সময় তাঁর শয়ন কক্ষে বালিশের নিচ থেকে ১টি দেশীয় ০.২২ পিস্তল ও ১০রাউন্ট তাজাগুলি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত সজিব ত্রিপুরা বাইল্যাছড়ি ২নং রাবার বাগান এলাকার মনোরঞ্জন ত্রিপুরার ছেলে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন টিটো জানান, ফাতেমা অপহরণ মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর বাড়ীতে অবস্থান করার সংবাদে শনিবার গভীর রাতে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সজীব ত্রিপুরা(২০)কে গ্রেফতার করে।এ সময় তার নিজ শয়ন কক্ষে বালিশের নিচ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের করা হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে সে ফাতেমাকে (সজীব অপহরণকালে ফাতেমাকে বহনকারী মটর সাইকেলের পিছনের আসনে বসা ছিল) অপহরণ ও ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৮সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটি শেষে স্বামী সন্তানসহ চট্টগ্রাম ফেরার পথে জেলার পানছড়ি লোগাং ইউনিয়নের ত্রিপুরা থেকে মুসলিম ধর্মান্তরিত ফাতেমা বেগমকে (নয়নতা ত্রিপুরা) গুইমারা বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গাড়ী থামিয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। ১৬সেপ্টেম্বর ফাতেমার স্বামীর নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গুইমারা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সজীব ত্রিপুরাকে প্রধান ও পলাতক দেখিয়ে ১২জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল ও সজীবসহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ ৬মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ফাতেমাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সজিব ত্রিপুরার বিরুদ্ধে অপহরণ ছাড়াও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। মামলা নং-০১, তারিখঃ ০৪.০৩.২০১৮ইং।