১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • গুইমারায় পায়েল হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও  ফাঁসীর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন




গুইমারায় পায়েল হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও  ফাঁসীর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এম দুলাল আহাম্মদ, খাগড়াছড়ি করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : মে ০১ ২০২৪, ১৮:২৭ | 653 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক নামক এলাকায় গত  ১১ এপ্রিল ২০২৪ মেহেদী হাসান পায়েল কে মোটরসাইকেল দিয়ে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে হত্যার সাথে জড়িত আজিজুল ইসলাম,নুর আলম ও আল আমিন রনি সহ খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসীর দাবীতে বুধবার ১ মে ২০২৪ দুপুর ৩টায় গুইমারা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পায়েলের পরিবার ও এলাকাবাসী। এসময় বিস্তারিত বলতে গিয়ে ছেলে হারানো যন্ত্রনায় আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পায়েল এর মা।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান পায়েল এর বড় ভাই রুবেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেলযোগে ৫ নম্বরের দিকে রওনা দিলে কিছুদুর আসার পর অপর প্রান্ত থেকে আসা আজিজুল তাহার মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ভাওলী মেরে নুর আলমের মোটরসাইকেলে থাকা সবাইকে ভয় দেখায়। এতে নুর আলম ভয় পেয়ে যায় এবং নুর আলমের মোটরসাইকেলটিসহ সকলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়া পরপরই বাকীরা পুনরায় উঠে গেলেও পায়েল উঠার চেষ্টা করার সময় অপর প্রান্ত থেকে আসা আজিজুল রাস্তার রং সাইডে গিয়ে পায়েলের মাথার উপরে মোটরসাইকেল তুলে দেয় এবং সাথে সাথে আজিজুল, নুর আলমসহ সকলে মোটরসাইকেল নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। আশেপাশের লোকজন তাদেরকে ডাক দিলেও তারা মোটরসাইকেল না থামিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনা ঘটার পর আজিজুলসহ অন্যান্যরা পায়েলকে উদ্ধার না করে ঘটানাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তারা আরো বলেন, আজিজুল ইচ্ছা করলেই পায়েলকে বাঁচিয়ে রাখতে পারতো। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন তারা।
পায়েল এর আরেক বড় ভাই মো: সোহেল জানায়, ঘটনাস্থলে পায়েলকে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গিয়ে আজিজুল ও নুর আলম আজিজুল এর বোন জামাই আল-আমিন রনির কাছে গিয়ে আশ্রয় চাইলে রনি তাদের কিছুদিনের জন্য পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলে তোদের কিছুই হবে না। আমি ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সব সমাধান করে দিব। থানার ওসির সাথে কথা বলবো, দরকার হলে এসপির সাথেও কথা বলে ডিল করবো।
সংবাদ সম্মেলনে পায়েলের পরিবার অভিযোগ করেন, মোঃ আল-আমিন রনি সাংবাদিক পরিচয়ে দিয়ে এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরী করে বিভিন্ন মানুষকে হুমনি-ধামকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে আসছে।
পায়েল এর বড়ভাই সোহেল আরো বলেন, পায়েলের লাশ দাফন করার পরের দিন আল-আমিন রনি দমক দিয়ে বলে, মামলা মোকাদ্দমা করে কিছুই হবে না, এখানে মিমাংসা করে ফেল। না হয় এক ভাই হারাইছো, তোমাদেরও সমস্যা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় পায়েলের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে জানায় ভুক্তভোগিরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ জহিরুল ইসলাম জানায়, ঈদের নামাজ শেষ করে কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে হঠাৎ পায়েল যে গাড়িতে ছিল সেই গাড়িটি রাস্তায় থাকা বালুর কারণে পড়ে যায়। পরে গিয়ে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা সামান্য আঘাত পাওয়া অবস্থায় তারা একে একে উঠতে থাকাকালীন অপর প্রান্ত থেকে আসা আজিজুল ইসলাম এসে পায়েলের মাথার উপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে ঘটনা গুরুতর দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমিসহ বেশ কয়েকজন পায়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ মনির হোসেন বলেন, নামাজ পরে বাসায় যাওয়ার পথে আজিজুল মোটরসাইকেল দিয়ে অপরপ্রান্ত থেকে আসা নুর আলমের গাড়িকে ভয় দেখালে গাড়িটি সেখানে পরে গিয়ে যাত্রী সবাই নিচে পরে গেলে আজিজুল তার মোটরসাইকেলটি নুর আলমের গাড়িতে থাকা পায়েল এর মাথার উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এতে পায়েল গুরুত্বর আহত হলে আজিজসহ বাকীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মৃত পায়েল এর শশুর ওসমান গণি বলেন, পায়েলকে বাচাঁনের জন্য সর্বচ্চো চেষ্ট আমি করেছি কিন্তু তাঁকে বাঁচাতে না পেরে লাশ নিয়ে বাড়ীতে আসার পর স্থানীয় কথিত সাংবাদিক নামধারী ঘাতকের বোন জামাই আল আমিন রনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে অর্থের বিনিময়ে মিমাংশার প্রলোভন ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে নুর আলমের গাড়িতে থাকা তাওহীদুর রহমান বলেন, ঈদের দিন সকালে নামাজ শেষে মোটরসাইকেল দিয়ে কবর জিয়ারত করার জন্য যাওয়ার পথে অপর প্রান্ত থেকে রং সাইড দিয়ে আসা আজিজুল ইসলাম আমাদের গাড়িকে ভয় দেখিয়ে ফেলে দিলে আমরাও গাড়ি থেকে পরে সামান্য আহত হই। পরক্ষণেই আজিজুল এসে পায়েল এর মাথার উপর দিয়ে মোটরসাইকেলটি চালিয়ে পায়েলকে মারত্মক ভাবে আহত করে। অবস্থা গুরুত্বর দেখে ঘটনাস্থলে পায়েলকে আহত অবস্থায় রেখেই আজিজুল ও নুর আলম পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আজিজুল চাইলেই পায়েলকে বাঁচাতে পারতো কিন্তু সে তা না করে নিজে বাঁচার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা ও পরিকল্পিত হত্যার সাথে জড়িত থাকার  বিষয়ে গুইমারা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে  আজিজুল ইসলাম এর বোন জামাই আল-আমিন রনির সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুটোফোনে কল করলে, তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলেন তাঁর স্বামী বাহিরে গেছে। এর পর কয়েকবার ফোন করলেও তা আর রিসিভ করেননি।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET