নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহী দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন। নিহতরা হলেন উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান টিটুর ছেলে বাসচালক ফারুক হোসেন (৩৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার নয়নশোকা গ্রামের মৃত তৈয়মুর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ-হিল-কাফি (৪০)। তিনি মহানন্দা স্পোশাল সার্ভিস বাসের যাত্রী ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কামারপাড়ার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচ একতা পরিবহন চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলো। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মহানন্দা স্পেশাল বাসটি রাজশাহী যাচ্ছিলো। বাস দু’টি উপজেলার কামারপাড়ায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মহানন্দা স্পেশাল নামের যাত্রীবাহী বাসটি সামনের দিক থেকে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের চালক ফারুক ও অজ্ঞাত পরিচয় (২৮) এক বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া আরও অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে। এ সময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও গোদাগাড়ী থানা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার কাজে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আহতদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, একতা পরিবহনের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে। এ জন্য লোকাল বাস মহানন্দা স্পেশালের যাত্রীরা বেশি আহত হন। বর্তমানে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়ায় হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাস দু’টি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।