৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • করোনা-ভাইরাস
  • গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মিথ্যা মামলার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত একটি পরিবার




গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মিথ্যা মামলার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত একটি পরিবার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : এপ্রিল ১৬ ২০১৮, ১৬:৫১ | 719 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের পরিবারকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে পরিবারটিকে আর্থিক ভাবে সর্বশান্ত করছে প্রতিপক্ষ। মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে বর্তমানে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিরীহ পরিবারটি। কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শেখ ফয়জুল হক (ফুল মিয়া)’র ছেলে নাহিদুল ইসলামের সাথে পার্শ্ববর্তী তারাইল গ্রামের আনিসুর রহমানের মেয়ে কামরুন নাহারের সাথে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দু’জনে স্বেচ্ছায় ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক এবং কাজীর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি কাবিন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিল। এ বিয়ে কামরুন নাহারের পরিবার মেনে নেয়নি। পরে গত ২০১৭ সালের জুন মাসে নাহিদুল ইসলামের ঢাকা ভাড়া বাসা থেকে কামরুন নাহারকে তার বাবা আনিচুর রহমান জোর করে তুলে নিয়ে নিজ বাসায় আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ সময় কামরুন নাহারের কাছ থেকে জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
পরে কামরুন নাহার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে পুনরায় স্বামী নাহিদুল ইসলামের কাছে চলে আসে। এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে পুর্বের ন্যায় সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু এ ঘটনার পর থেকে মেয়ের মা বিউটি বেগম বাদী হয়ে নাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে পরিবারের সকলের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। এ পর্যন্ত নাহিদুল ইসলামের পরিবারের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেছেন। যার দু’টি মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
সর্বশেষ ফুকরা গ্রামের তুহিন ফকির নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে টাকার বিনিময় বাদী করে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মামলার বাদী গরু বিক্রি করে পরানপুর গরুর হাট থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামীরা বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরানপুর পশুরহাটের ইজারাদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, তুহিন ফকির নামে ওই তারিখে পরানপুর হাটে কোন ব্যাপারী গরু ক্রয় বা বিক্রয় করেনি। এ ভাবেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ পরিবারটিকে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে হয়রানী করছে মামলাবাজ পরিবারটি। মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও মিথ্যা মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য পরিবারটি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিউটি বেগমের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET