গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় বানিয়াচর গ্রামের পঙ্গু অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা উন্নতি বালাকে সরকারী ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আতœসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ইউপি মহিলা সদস্য শিপ্রা মোহন্ত হারুর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে পঙ্গু অসহায় স্বামী পরিত্যক্তা উন্নতি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সাত বছর আগে দূর্ঘটনায় কোমরের হাড় ভেঙ্গে পঙ্গু হয়ে যাই। আমার স্বামী আমাকে এ অবস্থায় রেখে ভারতে চলে যায়। তারপর আমি আমার মায়ের কাছে আছি। আমি হাটতে চলতে পারি না এখন বিছানায় পরে থাকি। আমার ৫ বছরের একটি ছেলে প্রতিবন্ধী ও ৩ বছরের একটি মেয়ে নিয়ে না খেয়ে দিন চলে।
তিনি আরো বলেন, ৩ মাস আগে আমাদের মহিলা ইউপি সদস্য শিপ্রা মোহন্ত হারু আমাকে সরকারী ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে নিজ হাতে ৫ হাজার টাকা নেয়। এখন পর্যন্ত সে আমাকে ঘর দেয় নাই আমার টাকাও ফেরত দেয় নাই। টাকা ফেরত চাইলে তিনি কিছুই বলেনা। আমি আমাদের ইউপি চেয়াম্যানকে জানালে তিনি কিছু করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শিপ্রা মোহন্ত হারুর ব্যবহৃত মোবাইল ০১৯৮৭-৩৮৫৩১৮ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি টাকা নিয়েছি উন্নতি বালাকে ঘর দেওয়া জন্য কিন্তু আমার একটি ঘর ৩ নং ওয়ার্ডের রুমার নামে পাশ হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকা আমার এক ভাই এই সব ঘর পাশ করিয়ে দেয়। সরকারী ঘরের জন্য টাকা নেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি এ সময় মোবাইল ফোনে সাংবাদিকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোনটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে জলিরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বৈরাগির ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১২-৭২৯৪৬০ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যা শিপ্রা মোহন্ত হারুর ঘর দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। তিনি শুধু শুধু সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার কাছে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়গুলি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আমি তার এহেন কর্মকান্ডের বিরোধীতা করি এবং বিচার চাই।