
নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও থ্রি-হুইলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও মহিলাসহ ১২ জন নিহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৫টায় শহর সংলগ্ন হরিদাসপুর ব্রীজ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্ত:ত ২০ জন; তবে তারা যার যার এলাকায় ফিরে গিয়েছেন, গোপালগঞ্জ হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়নি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের ঝিলু গাজীর ছেলে মোর্শেদ গাজী (৫৫), তে-বাড়ীয়া গ্রামের কাশেম শেখের দু’ছেলে জানে আলম (৩৭) ও আকাব্বার শেখ (৩৩), শুকতাইল গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা (২১), চন্দ্র দিঘলীয়া গ্রামের সলেমান সিকদারের ছেলে জগলু সিকদার (৩০) ও আব্বাস মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লা (২৫) এবং শুকতাইলের রং-মিস্ত্রী আল-আমিনের ছেলে নয়ন শেখ (১১), মেয়ে মরিয়ম খানম (৮), শালিকা মেঘলা (৯) ও শ্বাশুড়ী রেনু বেগম (৪৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে খুলনাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের এটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওই স্থানে এসে পৌছিলে গোপালগঞ্জ থেকে চন্দ্রদিঘলীয়াগামী যাত্রীবাহী একটি থ্রি-হুইলরের (মাহেন্দ্র) মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে বাস ও থ্রি-হুইলার দুটোই মহাসড়ক থেকে পার্শবর্তী খাদে গিয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সবার মৃত্যু ঘটে। নিহদের একজন ছিলেন পথচারী, বাকীরা সবাই থ্রি-হুইলরের (মাহেন্দ্র) যাত্রী ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং প্রায় দু’ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকেই সাদ্দাম মোল্লার লাশ তার স্বজনরা নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ এবং হাসপাতালে নেয়ার পরপরই জগলু সিকদারের লাশ তার স্বজনরা নিয়ে যায় বলে জানান হাসপাতালের ডেপুডি ডিরেক্টর ফরিদুল ইসলাম। সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে বাকী ১০টি লাশ দেখতে পায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে শত শত মানুষের ভীড়। নিহতদের স্বজনরা এখনও সবাই হাসপাতলে পৌছেনি।