
আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জের গ্রাম অঞ্চলে দিন দিন চুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন কোথায় না কোথাও ঘটছে ছোট ছোট চুরির ঘটনা। চুরেরা এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্রসহ গৃহপালিত পশু, গরু, ছাগল, হাঁস, মোরগ নিয়ে যাচ্ছে। চুরের উপদ্রবে জনমনে অশান্তি দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শেরপুর গ্রামে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ সুহেদ আহমদ চৌধুরীর বসতগৃহে দিন দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টার মধ্যে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সকালে ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে সুহেদ আহমদ চৌধুরী কর্মস্থল গোলাপগঞ্জে এবং তার স্ত্রী অসুস্থ মাতাকে দেখতে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরে চলে আসেন। ছেলেমেয়েরা স্কুল থেকে ফিরে ঘরে ঢুকার সুবিধার্থে ঘরের চাবি পার্শ্বের ঘরের ভাড়াটিয়ার কাছে রেখে যান। বড় মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে ঘরে ঢুকে দেখে স্টিলের আলমিরা খোলা এবং একটি ভেন্টিলিটার ভাঙ্গা। সাথে সাথে সে তার বাবাকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়। গৃহকর্তা ও গৃহকত্রী বাড়ি গিয়ে দেখেন চোর বিছানার নিচে রাখা চাবি দিয়ে খুলে আলমিরায় রক্ষিত নগদ ৯০/৯২ হাজার টাকা এবং ৬ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। দিনেদুপুরে এ দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
চুরি ঘটনায় সুহেদ আহমদ চৌধুরী বিকাল ৪টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সর্বশেষ গত কিছু দিনের মধ্যে পৌর এলাকার স্বরসতী গ্রামে কয়েকটি চুরির সংঘটিত হয়েছে। সর্ব শেষ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) স্বরসতী এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাশিমের ঘরে চুরেরা হানা দেয়। আব্দুল হাশিমের নব-নির্মিত ভবনে তিনি একা থাকেন। এই সুবাদে চুরের দল তার বিদেশীয় জাতিয় ২ টি টারকি মোরগ, (মূল্য ২০ হাজার টাকা), দোকানের বিক্রয়ের জন্য ছাদে রাখা সুপারীসহ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এতে কমপক্ষে তার ৩০ হাজার মালামাল চুরেরা নিয়ে যায়।