
পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঈদ বকশিসের বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ও বিভিন্ন পকেট রুটগুলোতে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও মহসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রি-হুইলার। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানযটের। এছাড়া এসকল থ্রি-হুইলারে ভূরঘাটা, ইল্লা, বার্থী, টরকী, গৌরনদী, মাহিলাড়া, বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডের যেখান থেকেই যাত্রীরা উঠুক না কেন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে জনপ্রতি দ্বিগুন করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। আর দিতে না চাইলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে, চালকদের দাবি ঈদ উপলক্ষে ‘ঈদ বোনাস’ হিসেবে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন তারা। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে পকেট রুটগুলোতেও। ইল্লা-বাকাই, বার্থী-ভালুকশী, টরকী-বাশাইল, গৌরনদী-রাজিহার, গৌরনদী-হোসনাবাদ, মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম, বাটাজোর-শরিকল পযর্ন্ত যেতেও যাত্রীদের থেকে বকশিসের নামে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে চালকরা। আর দিতে না চাইলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকালে বাশাইল গ্রামের আবদুস সোবাহান অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা থেকে রওনা করে ঈদের দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ছেলেকে নিয়ে টরকী বাসস্ট্যান্ডে নেমে ব্যাটারীচালিত কয়েকটি ভ্যান দেখে একজন চালককে বাশাইল যাবার কথা বলি। এসময় আমার কাছে থেকে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ৬০০ টাকা দাবী করেন ওই ভ্যানচালক। অপরিচিত হওয়ায় আমি তাকে চিনতে পারি নি।
ঢাকা থেকে আসা গার্মেন্টস কর্মী তাসলিমা জাহান বলেন, ঈদের আগের দিন রাত নয়টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে নেমে ইজি বাইকযোগে রাজিহার নামলে চালক আমার থেকে ভাড়া ও বকশিস বাবদ ২০০ টাকা দাবী করেন। তখন আমি অতিরিক্ত ভাড়ার নেবার কথা বললে আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে ওই চালক একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাকে ২০০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।
রাজাপুরের বাসিন্দা রাজীব ইসলাম তারীম বলেন, টরকী থেকে রাজাপুর যেতে ভ্যানে উঠলে আর নামলেই ১০ টাকা ভাড়া। আর এখন দিতে হচ্ছে ২০ টাকা করে।
গৌরনদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে প্রমাণ সাপেক্ষ্যে তাদের আইনে আওতায় আনা হবে।