খোকন হাওলাদার, গৌরনদী(বরিশাল)প্রতিনিধি ||
পাক সেনাদের হাত থেকে সেদিন স্ব-পরিবারে প্রাণে রক্ষা পেলেও আজ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ঢাকার আলোচিত একটি হত্যা মামলার ফেরারী আসামির সহযোগীরা দেশত্যাগের হুমকি অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠিত একটি হিন্দু পরিবারকে। উল্টো ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
ফলে ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া ভিটেমাটি হারানোসহ দেশছাড়ার চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন জেলার গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের দিলীপ কুমার মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্তাধীকারি দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী স্বপন কুমার দাস ও তার পরিবারের সদস্যরা। একদিকে মামলার হয়রানী, অন্যদিকে প্রতিমাসে স্বপন কুমার দাসের একমাত্র মেয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী সেতু রানী দাসের শরীরে একব্যাগ করে রক্ত পুশ, একমাত্র ছেলে বিপ্লব কুমার দাসকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করেও এখন তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে দেশত্যাগের আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে এবং ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রক্ষার জন্য অসহায় স্বপন কুমার দাস প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্বপন কুমার দাস জানান, ফেরারী আসামি ফারুক ঠাকুরের কাছ থেকে গোপনে সম্পত্তি ক্রয়ের পর ও অতিসম্প্রতি দুদকের মামলায় কাল্বের চেয়ারম্যান সাইমুন রেরেরা আত্মগোপন করায় পুরো সম্পত্তি দখলে নিতে কাল্বের পরিচালক ও ব্যবসায়ী রাশেদুজ্জামান ঝিলাম মরিয়া হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের (স্বপন গং) দখলকৃত ওই সম্পত্তি নিজের দখলে নিতে স্থানীয় কতিপয় ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগীতায় মহাসড়কের পাশের অংশের ডোবায় বালু ভরাট কাজ শুরু করেন। এসময় তিনি (স্বপন দাস) দখলকারীদের বাঁধা প্রদান করায় তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। একপর্যায়ে তিনি আদালতের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেয়ায় তাকেসহ পরিবারের সকল সদস্যদের দেশত্যাগের হুমকি দেয়া হয়। বর্তমানে দখলকারীরা তাদের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।
Please follow and like us: