
বরিশাল প্রতিনিধি :
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী গ্রামে দাম্পত্য কলহৎহের জের ধরে এক সালিস বৈঠকের জের ধরে চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত দের উপর মঙ্গলবার রাতে হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে জখম করেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বাদি হয়ে বুধবার চার জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, গৌরনদী উপজেলার উত্তর চাঁদশী গ্রামের মো. শাহজাহান জমাদ্দারের পুত্র ওয়াসিম জমাদ্দার(৩৫)র সঙ্গে তার স্ত্রী পান্না আকতারের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। অতি সম্প্রতি এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতা-ার এক পর্যায়ে স্বামী ওয়াসিম জমাদ্দার স্ত্রী পান্নাকে নির্যাতন করেন। গত সোমবার উভয় পরিবারের লোকজন চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত দে, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. লিটন সরদার, সমাজসেবক সৈয়দ মেহেদী হাসান, পেসকার আ. মজিদ সরদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ৯ জনকে সালিস হিসেবে মনোনীত করে বিষয়টি সুরাহার জন্য মঙ্গলবার রাতে সময় নির্ধারন করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় চাঁদশী মিয়া বাড়ির দরজায় সালিস বৈঠকে বসেন। সালিস বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন জানান, সালিস বৈঠকে ওয়াসিম জমাদ্দারের স্ত্রী পান্না আকতার তার স্জনদের নিয়ে উপস্থিত হলেও পান্নার স্বামী ওয়াসিম ও তার স্বজনরা বৈঠকে আসেননি। বৈঠকের নির্ধারিত সালিস সৈয়দ মেহেদী হাসান, আ. মজিদ সরদার জানান, স্বামী ওয়াসিম জমাদ্দারসহ তার লোকজন উপস্থিত না হওয়ায় রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান সালিস স্থগিত করে স্ব স্ব বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত দে জানান, সালিস স্থগিত করে নিজ বাড়ি রওয়ানা হয়ে চাঁদশী মিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পৌছলে স্বামী ওয়াসিম জমাদ্দারের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার পরথরোধ করে কেন সালিস ডেকেছে জানতে চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসী ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এলোপাতারিভাবে পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হামলাকারী ওয়াসিম জমাদ্দারকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা মো. শাহজাহান জমাদ্দার বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে সালিস ডেকেছি। চেয়ারম্যানের উপর হামলা করা ঠিক হয়নি। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত দে বাদি হয়ে চার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।