হাইমচর প্রতিনিধি
হাইমচর উপজেলা সদর আলগীবাজারস্থ দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহকারি প্রধান শিক্ষক লম্পট জাকির হোসেন নিজ বিদ্যালয়ের এসএসএসি পরিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন চেষ্টা ও উত্তক্ত করন বিষয়ে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহলের কাছে তদবীর করছেন লম্পট শিক্ষক ও তার পক্ষ অবলম্বন কারিরা। লম্পট শিক্ষকের মেবাইল টেলিফোনে কথোপকথন রেকডিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় লম্পট শিক্ষক তার বিদ্যালয়ে চলতি বছরে এসএসসি পরিক্ষার্থী ( নামপ্রকাশ করা হলোনা) ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন থেকে উত্তক্ত অশ্লীল ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছেন। শ্রেনী কক্ষে পাঠদানের বাহিরে একান্তে পাওয়ার জন্য ঐ ছাত্রীকে নানান সময়ে হেনস্থা করে যাচ্ছেন। লম্পটের হাত থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাঁচার জন্য বিষয়টি তার পরিবার ও সহপাঠিদের জানান। লম্পট শিক্ষক শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক প্রস্তাব এর পাশাপাশি মোবাইল ফোনেও অশ্লীল প্রস্তাব করে। এসএসসি পরিক্ষার্থী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বর্তমানে চরম নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছেন। লম্পট শিক্ষক এর অনৈতিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সামনে এসএসসি পরিক্ষা এবং আত্ম সম্মানের ভয়ে শিক্ষার্থীর পরিবার কিংকর্তব্য বিমোড়।
অভিযুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ব্যক্তি জীবনে মাদক সেবন, আপন খালার সাথে বিবাহ বন্ধনসহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় হাইমচর উপজেলায় বিতর্কিত শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। মাদক এবং পরনারী আসক্তি দীর্ঘ দিনের, লম্পটকে শুদরানোর জন্য পরিবার থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠালেও তার পরিবর্তন হয়নি, উপজেলার গন্ডামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ছিল।
অভিযোগ বিষয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন কোন স্বাক্ষাতকার প্রদান করতে অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য অদ্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ে একটি সভা হয়েছে। আমি ক্ষমা প্রার্থী আপনারা সামাজিক ভাবে যে বিচার করবেন আমি মেনে নিব। বিষয়টি নিয়ে আমার মানসমম্মান নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ করছি।
দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধানশিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম মীর হোসেন জানান ঘটনাটি অত্যান্ত লজ্জাস্কর। আমরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
শিক্ষক নামের কলংক লম্পটের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহল জোরতদবীর চালাচ্ছে। তদবীরের ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবার চরম আতংকে দিন পার করছে। লজ্জা ভয় এবং সংকার কারনে ঐ পরিবারটি নিজেদেরকে ঘুটিয়ে রেখেছে।