
মো:আব্দুর রহিম বাবলু :
জাতীয় পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মানদন্ডকে কুলষিত করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বাহারি রঙ্গের ফেষ্টুন ব্যনার এবং সাইনর্বোড সাটিয়ে আকর্ষণীয় বাক্য বচনের মাধ্যমে এ অবৈধ বাণিজ্যকে প্রতিষ্ঠিত করছেন চট্টগ্রামের কথিত ডাক্তর তাহেরজ্জামান। নগরীর বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকায় অভিনব কৌশলে সক্রিয় সংঘবদ্ধ এ চক্রটি প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাতারাতি কোটিপতি বনেগেছে প্রতারক চক্রের প্রতেক সদস্য। প্রশাসন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের যোগসাজোশে বেপরোয়া ভাবে প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ চক্রটি। জীবন বাঁচাতে এসে প্রতারিত হয়েছে এরকম একাধিক মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সনে প্রতারকদের প্রতিষ্ঠিত ৬ষ্ঠতলা বিশিষ্ট ভবনে অনুমোদনহীন ”জেনুইন ক্যানসার নামের হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া হাসপাতালের সমস্ত মালামাল জব্দ করে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কোষাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জানা যায় অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়কের উত্তর পার্শ্বস্থ ফটিকছড়ি আবাসিক সংলগ্ন কয়লারঘর নামক স্থানের জেনুইন হাসপাতাল নামক বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি বন্ধ থাকলেও থেমে নেই এ চক্রের প্রতারণার কার্য্যক্রম। এছাড়া আরও জানা যায় চট্টগ্রাম শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বন্দরে দৈনিক ১০-১২টি বিমান অবতরণ করে ফলে নগরীর চান্দগাওঁ এলাকার মোহরা, বায়েজিদের অক্সিজেন, অনন্যা আবাসিক এলাকাগুলো বিমান অবতরনের আওতাধিন আনা হয়। এতে ৫মাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের প্লান দিতে পারবেনা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। দেখা যায় বিমান অবতরন এলাকায় কথিত ডাঃ তাহেরজ্জামানের জেনুইন ক্যানসার হাসপাতালের ভবনটি সাড়ে ছ’তলা বিশিষ্ট। শুধু তাই নয় বিমান অবতরণী এলাকায় এরকম শতাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যা ল্যন্ডিং এরিয়ার আইনের পরিপন্থী। জানা যায় কথিত ডাঃ তাহেরজ্জামান চক্রটির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকা সহ অনলাইন নিউজ পোর্টালে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে টনক নড়ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। জানা যায় গত ১৩ মে থেকে জাতীয় দৈনিক নয়াবাংলা, জাতীয় দৈনিক জনতা, জাতীয় দৈনিক বজ্রশক্তি, দৈনিক নতুন বাংলাদেশ, দৈনিক আজকের সংবাদ, জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা, অপরাধ চোখ, সিটিজি ক্রাইম নিউজ, এসএনএন ২৪ ডট কম, মুক্তির লড়াই, দৈনিক নয়া আলো, দৈনিক বাংলার দর্পণ, দৈনিক নাঙ্গলকোট টাইমস, এসটিভি ২৪ ডটনেট. পত্রিকায় চক্রপ্রধান তাহেরজ্জামানের কু-কর্মের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এলাকাসহ সারাদেশ এবং সামাজিক যোগাযোগে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে ডাঃ চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ হোসেনের সার্বিক তত্ববধায়নে এ চক্রটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বলে সূত্রে জানা যায়। এছাড়া হোসেনের নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কথিত সাংবাদিক চক্র যাদের মাধ্যমে তাহেরজ্জামানের কাছে নারী ও মাদক সরবরাহ করা হয় বলে সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে নগরীর ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড রেলবিট এলাকায় তাহেরজ্জামানের বহুতল ভবনের নিচের তলায় তিনটি চেম্বারের একটিতে বিচার কার্যক্রম, আরেকটিতে অবৈধ কার্য্যকলাপ, অন্যটিতে ডাক্তারী চিকিৎসার নামে চলছে ভদ্রবেশি ধুরন্দরী প্রতারণা। এদিকে তাহেরজ্জামানের একই ভবনের তৃতীয় তলায় মরিয়ম নামের একজন মহিলার কাছথেকে ফ্লাট বিক্রির নামে পনের লক্ষ টাকা আত্মস্বাদ করছে বলে ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন। তবে মরিমকে সে ফ্লাটটি বুঝিয়ে দিলেও কাগজে কলমে তাকে রেজিষ্ট্রি দিচ্ছেন না বলে জানায় ভূক্তভোগী। জানা যায় বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল (বি,এম,ডি,সি)র নিবন্ধন ছাড়া কোন চিকিৎসক তার নামের পূর্বে ডাক্তর শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া ডাক্তারী কোন সনদ পত্র না থাকলেও দেশ জুড়ে ডাক্তার তাহেরজ্জামনের নাম বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। এব্যপারে ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু বলেন আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাহেরজ্জামান এর বিষয়ে পড়েছি তবে কেহ সু-নিদ্রিষ্ট অভিযোগ করলে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেব। এছাড়া জেনুইন ক্যানসার হাসপাতাল এবং তাহেরজ্জামানের প্রতারণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান বলেন এ বিষয়ে মোবইলে কথা বলা সম্ভব নয় আপনি আমার সামনে আসলে তার বিষয়ে বিস্তারিত বলব। তবে তাহের জ্জামানের প্রতারণার বিষয়ে এলাকায় জনগণের মাঝে উত্তেজনা ক্ষোভ বিরাজ করছে।