
শামীম খান, ঝিনাইদহ ব্যুরো চিফঃ দীর্ঘ ৯ বছর আতিবাহিত হলেও এখনও চালু হয়নি ঝিনাইদহের বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষ কেন্দ্রটি।বছরের পর বছর পড়ে থাকায় জঙ্গল আর লতাপাতায় ঘিরে ধরেছে ঘোটা ভবন। রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে ভবনের জানালা -দরজা চুরি হয়ে গেছে অনেক গুলো। পরিত্যক্ত থাকায় ৫টি ভবনের মধ্যে ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। অথচ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০০ শয্যার আবাসিক স্কুল ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি চালু হলে এখানে ৪টি ট্রেডে ২৫জন করে মোট ১০০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষাথী পড়া লেখার পাশাপাশি প্রশিক্ষনের সুযোগ পেতো।এখান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তারা স্বালম্বী হতে পরতো। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কারনে চিঠি যায়, উত্তর আসে না।
ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার শারিরিক প্রতিবন্ধী ছাত্র শাহিনুর রহমান জানান,বাক ওশ্রবন প্রতিবন্ধীদের স্কুলটি চালু না হওয়ায় আমার মতো অনেক প্রতিবন্ধি ছেলে মেয়েরা কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান জানান, ঝিনাইহ শহরের চাকলা পারায় ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ বিঘা জমির ওপর ঝিনাইদহ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের স্কুল ও প্রশিক্ষ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালে ৮ এপ্রিল জোট সরকারের আমলে ভবনটির ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় ভবন নির্মানে আর্থিক সয়াহতা দেয়। ভিক্তি প্রস্তর স্থাপনের পর নির্মান কাজ শেষ হতে আরো ২ বছর কেটে যায়। বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০০ শয্যার আবাসিক স্কুল ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি চালু করতে ৯ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারী সহ ২৯টি পদে জনবল চেয়ে আবেদন করা হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে। কিন্তু এ যাবৎ পাঠানো চিঠির কোন উত্তর আসেনি ।তবে খুব দ্রত প্রতিষ্ঠানটি চালু হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ পরিচালক আব্দুল মতিন জানান, বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী কেন্দ্রটি চালু করতে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।