কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিখোঁজ শিশু মোহাম্মদ রাফির লাশ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলা সদরের চাঁন্দিশকরা মধ্যমপাড়ার শহীদুল ইসলাম রাজুর বড় ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার পর থেকে রাফিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একইদিন রাত দশটায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (নং-১২৬৮/২৪) করা হয়। রোববার সকাল ১১টায় নিখোঁজ শিশুর বাড়ির পাশের নোয়াপুকুরের পশ্চিমপাড়ের পাকা ঘাটলার দক্ষিণ পাশে রাফির লাশ ভাসতে দেখেন হাজী রইছের রহমান নামে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে শিশু রাফির মৃত্যুতে তার পিতা-মাতা সহ স্বজনদের গগণবিদারী আত্মচিৎকারে যেন আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। পরিবারসহ সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম রাজু কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘কারো সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আমার ছেলে রাফি নিহত হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাই’।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদিউল আলম পাটোয়ারী জানান, ‘শনিবার বিকালে শিশু রাফি নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। রোববার সকালে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে’।