কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মসজিদে ঢুকে ইমামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সাজেদুল ইসলাম সজিব নামের এক যুবক। আহত ইমামের নাম হাফেজ মাওলানা বদরুল হাসান। ঘটনাটি ঘটেছে আলকরা ইউনিয়নের সাতচর উত্তর পাড়া জামে মসজিদে মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময়। ঘটনায় জড়িত সজিবকে আটক শেষে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সময় নামাজের আযান দিলে সাতচর গ্রামের মৃত ছেরাজ মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম সজিব স্থানীয় মসজিদে প্রবেশ করে সব লাইট, ফ্যান ও এসি চালিয়ে দেয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার মাগরিবের সময় মসজিদের ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান সজিবকে লাইট ও ফ্যান চালাতে নিষেধ করায় বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মাগরিবের ইমামতি শেষে হাফেজ বদরুল হাসান সুন্নাতের নামাজ পড়া অবস্থায় সাজেদুল ইসলাম সজিব দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইমামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সজিবের এলোপাতাড়ি আঘাতে ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান মারাত্মকভাবে আহত হন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত মুসল্লিরা সজিবকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়রা হাফেজ বদরুল হাসানকে উদ্ধার শেষে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি-মসজিদের ইমামের উপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। হামলকারীকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাজেদুল ইসলাম সজিবকে আটক শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে’।