
সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমোদন না নিয়ে ছাগলনাইয়ায় সওজ’র জায়গা ব্যবহার করে এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) ছাড়পত্র ছাড়া কোন এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন পরিচালনার অনুমোদন দিতে পারেনা সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এমন আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা না করে ছাগলনাইয়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন। এতে প্রতি বছর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোট চারটি এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন রয়েছে এগুলোর মাঝে শুধু মাত্র ছাগলনাইয়া-ফেনী প্রধান সড়কে অবস্থিত মেসার্স মজুমদার ফিলিং স্টেশনের পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়াও চাঁদগাজীতে গ্রীন এলপিজি সিএনজি স্টেশন, ঢাকা চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের পূর্ব ছাগলনাইয়ায় ছাগলনাইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন ও মুহুরীগঞ্জ রোডে বিএম এলপিজি ফিলিং স্টেশন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছাগলনাইয়ায় যেসব এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনে সওজ’র অনুমতি ছাড়া গ্যাস সরবরাহ করছে সেগুলো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এসব এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন গুলোর লাইন্সেস ও পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকারও অভিযোগ উঠেছে। ছাগলনাইয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাশ সুমিত জানান, সম্প্রতি গ্রীণ এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশনে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ করার অপরাধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে নগদ অর্থদন্ড আদায় করেছে। মেসার্স মজুমদার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার নুর কুতুবুল ইসলাম ফয়সাল জানান, সওজ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার স্টেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। চলতি বছরের ২৫ মার্চ মেসার্স মজুমদার ফিলিং স্টেশন সড়ক ও জনপথের নবায়নের জন্য আবেদন করেছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, গ্রীন এলপিজি সিএনজি স্টেশন, বিএম এলপিজি ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপদের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছেন বলে জানান। ছাগলনাইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনের পরিচালক বদরুদ্দোজা ভূঁইয়া তারেক জানান, এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন চালানোর সকল অনুমতি আমাদের নিকট রয়েছে। তবে তিনি কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা জানান, অনুমতি ছাড়া ফিলিং স্টেশন চালানোর কোন সুযোগ নেই। ফেনী সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা জানানা, এলপিজি অটোগ্যাস স্টেশন পরিচালনার জন্য সড়ক ও জনপথের অনুমোদন ছাড়া অন্য দপ্তরগুলো অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই। সওজ’র ছাড়পত্র ব্যতীত কিভাবে অন্য দপ্তর গুলো এসব এলপিজি স্টেশন গুলো পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায়। তবে যেসব এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন সড়ক ও জনপদ বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আগামী জুলাই মাস থেকে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Please follow and like us: