নজরুল ইসলাম চৌধুরীঃ- গত ১ লা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারর ছাগলনাইয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধিনে অনুষ্ঠিত বাংলা ১ম পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় (এসএসসি) সরকারী কলেজ ভেন্যুর ২০৩ নং কক্ষে এবং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুর ৮ নং কক্ষে বিলম্বে প্রশ্নপত্র দেয়ায় শতাধীক পরীক্ষার্থী সম্পুর্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নিকট অলিখিত অভিযোগও করেছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী ও কেন্দ্র সচিব ছাগলনাইয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পরবর্তী পরীক্ষায় বিষয়টির তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষা শেষে ঘোষিত তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি কেন্দ্র সচিবসহ ভেন্যু গুলোর কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে জানিয়েছে বিলম্বে প্রশ্নপত্র দেয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি তদন্ত করে দেখেছি এটি একটি মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরো বলেন, টেগ অফিসার, সহকারী কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেছেন সময়মত প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে এবং বাংলা ২য় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন আমি ঐ সকল হলে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের জানতে চাইলে পরীক্ষার্থীরা বলেছে প্রশ্নপত্র বিলম্বে দেয়া হয়নি। কেন্দ্র সচিব যদিও বলেছেন তিনি হলে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন তবে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ এ বিষয়ে আমাদের কেউ কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কেরননি। অন্যদিকে বিলম্বে কেনো প্রশ্নপত্র দেয়া হলো এ বিষয়ে অভিযোগ করেও প্রতিকার নাপেয়ে হাতাশ হয়ে পড়েছে অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাগলনাইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুর দুইজন হল পর্যবেক্ষককে হল ডিউটি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম আলী জিন্নাহ। তবে কেন্দ্র সচিব জানিয়েছেন যেহেতু অভিযোগের সতত্যতা মিলেনি সেহেতু কাউকে অব্যহতি দেয়া হয়নি। শতাধীক পরীক্ষার্থীর অভিযোগের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা না নেয়ায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সচেতন মহলের মাঝে নানান গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। তবে পুনরায় সঠক তন্তত করে কেনো বিলম্বে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখবে এবং কারা কারা এর পেছনে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ। কোন কোন শিক্ষক সেদিন পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত ছিলেন তা জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব বলেন তা আমি জানিনা। তবে কেন্দ্র সচিব ঐ ভেন্যুর হল সুপারকে জিজ্ঞস করেন বলে তাদের মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছেন কিন্তু মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।