
নজরুল ইসলাম চৌধুরীঃ
গত শুক্রবার (৪ জানুয়ারী) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলার ৮ নং রাধানগর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম মধুগ্রাম মিদ্দা বাড়ীর মৃত সামছুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৫২)। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে নিখোঁজ আবুল কালামের ঘরের পাশে দুর্গন্ধ পায় কালামের বোন জরিনা আখতার। এসময় পাশের ঘরের সেফটি টাংকির উপরের ঢাকনা সামান্য ফাকা দেখতে পায় জরিনা আখতার। জরিনা বিষয়টি জানায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে। মোশারফ হোসেন তাতক্ষনিক বিষয়টি ছাগলনাইয়া থানা কর্তৃপক্ষকে জানালে দুপুর ২ টার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এবং সেফটি টাংকির ভেতর লাশ দেখতে পায়। বিকেল ৫ টার সময় পুলিশ সেফটি টাংকির ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার নিশান চাকমা, ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এম মুর্শেদ পিপিএম, ওসি তদন্ত সুদ্বীপ রায় পলাশ। আবুল কালামের লাশ উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি এমএম মুর্শেদ পিপিএম বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারনা করছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। ওসি তদন্ত সুদ্বীপ রায় জানান, ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিহত কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার (৪০) ও বড় ছেলে মোঃ হাসানকে (১৬) থানায় নেয়া হেয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৬ দিন আগ থেকে আবুল কালাম নিখোঁজ হলেও পরিবার থেকে থানায় কোনো ডাইরি করা হয়নি। তবে বোন জরিনা বেগম বলেন, আমার ভাই কালাম ৩ বিয়ে করেছে। ১ম স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় রেখা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং শেষে ঢাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে বিয়ে করে। বর্তমানে ২য় স্ত্রী রেখার সাথে বাড়ীতে বসবাস করেন ভাই কালাম। গত দু’বছর আগে ভাই আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে স্বাভাবিক আচরণ করেনা। রাতে ঠিকমতো ঘুমও যায়না। পাগকের মতো আচরণ করে। শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখোঁজ। আমরা সকল আত্মীয়স্বজনেরর বাড়ীতে খোঁজ করেছি কিন্তু কেউ খোঁজ দিতে পারেনি। তবে থানায় ডাইরী করার বিষয়টি আমাদের স্মরণে ছিলোনা।
তবে, নিখোঁজের দিন দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। এ হত্যার পেছনে যে বা যাহারা থাকুকনা কেনো দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কল) নিশান চাকমা।
নিহত আবুল কালাম অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য (কুক) ছিলেন বলেন জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
Please follow and like us: