
নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ- ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৬ শতাধিক ছাত্র/ ছাত্রী শিক্ষক কর্মচারী ও এলাকাবাসী মুরগীর খামারের বিষ্ঠার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিষ্ঠার দূর্গন্ধে অনেক ছাত্র/ছাত্রী মাদ্রাসার মধ্যে অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকির ভয়ে মাদ্রাসায় আসেনি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেনা। এতে করে মাদ্রাসার পড়ালেখা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী জানায়, নীতিমালা উপেক্ষা করে শুভপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দেয়াল ঘেষা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার পাশে মুরগির খামারটি স্থাপন করেন শুভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুল্লাহ সেলিম। খামারে বর্তমান প্রায় ২ হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার দূর্গন্ধের কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দূর্গন্ধে খামারের চারদিকের মানুষের বসবাস এবং মাদ্রাসার ৬ শতাধিক। ছাত্রছাত্রী শিক্ষক কর্মচারীর লেখাপড়া দায় হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত হতে হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমনস্থানে খামার স্থাপন করা যাবেনা। গতকাল রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারটি আশপাশের মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। খামারের পাশে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে তীব্র দূর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পাশে রয়েছে শুভপুর পুরাতন বাজার এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি। শুভপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য আজিজুর রহমান মজনু, সদস্য সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হক জানান, মুরগীর বিষ্ঠার দূর্গন্ধে গত মঙ্গলবার ২ জন ছাত্র ও ৫-৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার কারণে বৃহস্পতিবার অনেক ছাত্রছাত্রী শ্রেণিকক্ষে আসেনি। শুভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পোল্ট্রি খামারের মালিক মোঃ আবদুল্লাহ সেলিমের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত তিনি কমিটির কাছ থেকে সময় নিয়েছেন। এ ব্যাপারে শুভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল্লাহ সেলিম জানান, পোল্ট্রি খামারটি ২ বছর আগে স্থাপন করা হয়েছে। এখন কেন আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদা ফাতিমা চৌধুরীর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।