
নজরুল ইসলাম চৌধুরীঃ
ছাগলনাইয়া ইফসা নামক এনজিও অফিসের ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান সবুজ (৩৭) স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে রবিবার (১১ জুন) ছাগলনাইয়া থানার এসআই মোঃ নোমান ছিদ্দিকী গ্রেফতার করেছে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে। নির্যাতিত মোসাম্মাৎ নাছিমা খাতুন বর্ষা (৩৬) অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী মানিরের সাথে ২০০৮ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে দু’জন গোপনে বিয়ে করে মাত্র ১ লাখ টাকা দেন মোহরের বিনিময়ে। বর্ষা পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে বেসরকারী সংস্থা সিমভায়সিসে কর্মরত ছিলো। ২০১২ সালে বর্ষা অন্তঃসত্ত্বা হলে তার স্বামী ও শাশুড়ি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। এরপর বর্ষাকে মা হতে দিবেনা তার স্বামী। ২০১৫ সালে বর্ষা চাকুরী ছেড়ে দেয় এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে বর্ষা ১৬ লাখ টাকা পায়। ঐ ১৬ লাখ টাকা বর্ষার স্বামী জামি কিনবে বলে হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে বর্ষাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গত ৯ জুন শুক্রবার রাতে বর্ষার স্বামী তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদম প্রহার করলে বর্ষা ছাগলনাইয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় এবং ১১ জুন বর্ষা বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মনিু্রুজ্জামানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রুজু করে ( মামলা নং-৭)। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার রাতে মনিরুজ্জামানকে থানা পাড়াস্থ বসর ভিলা থেকে পুলিশ আটক করে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন, ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ ছালেহ। বর্ষা পাবনা জেলার আমিনপুর থানার শারির ভিটা গ্রামের মৃত আনতাজ আলীর মেয়ে এবং মনিরুজ্জামান সবুজ টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার কদকতলী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।