
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এর উদ্যোগে আজ ২৮ এপ্রিল ২০১৮ইং রোজ শনিবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে’ এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন হাজারী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জননেতা নজরুল ইসলাম খান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বী-রমুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলম এর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, জিনাফ’র সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম.এ হালিম, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, অপরাজেয় বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ক্বারী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আইজিপিকে ডেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছিলেন। তারপরেও চিকিৎসা কেন হয়নি আপনারা বুঝতেই পারছেন। দেশ কে চালায় ? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন যথাসময়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা না হলে প্যারালাইসড সহ আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তার চোখ লাল হয়ে গেছে। চোখের চিকিৎসা ঠিক মত না হলে তিনি অন্ধত্ব বরণ করতেও পারেন। আল্লাহ না করুক, মমতাময়ী নেত্রী খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়ে যায় এর দায়ভার কোনভাবেই সরকার এড়াতে পারবে না। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। আমরা বারবার তার সুচিকিৎসার জন্য কথা বলছি, আবেদন করছি। অথচ আমাদের কোন কথা সরকার কর্ণপাত করছে না। এভাবে একজন সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয় না। সেখানে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সেনা প্রধানের স্ত্রীকে কেন চিকিৎসা দিচ্ছে না দেশবাসী বুঝতে পারছে। দেশে কোনভাবেই আরেকটি ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সাধারণ মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। তারা রাজপথে নেমে আসবে। আর যেদিন জনগণ রাজপথে থাকবে সেদিন সরকারের অস্তিত্বও থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি বলতে চাই, যে ব্যক্তি জন্মসূত্রেই নাগরিক তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থই হচ্ছে আরেকটি ষড়যন্ত্র। জনগণকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য সজাগ থাকতে হবে। আসন্ন দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, গতকাল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গিয়েছিলাম। ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন দেয়ায় গাজীপুর মহানগর জামাতের আমীরসহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের অপরাধ তারা ধানের শীষের পক্ষে নেমেছে। অথচ যখন হাসানউদ্দিন সরকারকে সমর্থন জানায়নি তখন তাদেরকে মিছিল-মিটিং করারও সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এই সরকার। তাদের বিপক্ষে গেলেই তার আর কোন রক্ষা নেই। সেই ব্যক্তি যদি তাদের নিজেদের দলেরও হয়। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের থাকতে পারেনি। থাকতে পারেনি ড. কামাল হোসেনের সংবিধান প্রণেতা। তিনি সরকারকে এই ভয়ঙ্কর খেলা না খেলে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা করার জন্য আহ্বান জানান