
মোঃ ইমরান হোসাইন, বরগুনা প্রতিনিধি:
নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পরেছে বরগুন জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ২১নং ছোট পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে ভবন সংকট ও বেঞ্চ সংকট এ ছাড়াও ক্লাস রুমের সংকট থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বেঞ্চ নিয়ে রুমের বাইরে ক্লাস করতে হয়েছে। গত ১৭/০৫/২০১৭ ইং তারিখ সরেজমিনে গিয়ে এমটাই দেখা গেছে।
জানা গেছে, ছোট পাথরঘাটা সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর পরই একটি একতলা ভবন পায় বিদ্যালয়টি। বেশ কয়েক বছর ধরে নান প্রতিকুলতা পেরিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি নির্মানধীন ভবনটি ৩৮ বছর হওয়ার আগে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও ফাটল দেখা গেছে। ভবনটি সামনের বারান্দার একটি খুটিও ভাল নাই। খুটির পরিবর্তে মেহগনি গাছ দিয়ে ধার করে রাখা হয়েছে ভবনটির ছাদ। যে কোন মুহুর্তে ভবনটি ধসে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোসাঃ সাহিদা আক্তার জানান, ক্লাসরুমের ছাদ এবং দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়াছে। এ ছাড়াও সুরকি খসে পড়ে দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছি প্রায় আমরা। এমন অবস্থায় এই ছোট শিশুদের নিয়ে এখানে ক্লাস করা সম্ভাব নয়। বারি বৃষ্টিপাত হলেই পাশের মসজিদে আমাদের আশ্রয় নিতে হয়। তাই আমাদের একটি নতুন একাডেমিক ভবন দরকার গত তিন বছর যাবৎ বিদ্যালটিতে শতভাগ করলেও সুনাম ধরে রাখার জন্য বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের দাবী করে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভবকরা। কয়েকজন অভিভাবকের সাথে করা বললে তারা জানান, এই স্কুলটিতে তাদের সন্তানদের পাঠাতে নিরাপদ মনে করছেন না। তারা সাংবাদিকদের আরো জানান ভবনটি যে কোন মহুর্তে ধসে পরে তাদের সন্তানরা দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারে। অনেক অভিভাবকরা আবার তাদের সন্তানদের এখান থেকে নিয়ে অন্য বিদ্যালয় ভর্তি করাচ্ছেন। আর এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঐ এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, অবহেলিত এই স্কুলটিতে একাডেমিক ভবনের অভাব রয়ে গেছে। বিদ্যালয়টিতে একটি একাডেমিক ভবন স্থাপনের সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসি। তাহলে অবহেলিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের সুন্দর পরিবেশ ফিরে পাবে। শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল লাভে সহায়ক হবে।
আর বিষয় কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এর সাথে তিনি জানান, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থা থাকায় বিদ্যালয়টি পরিচালনার কাজে ও কোমলমতি শিশুদের পাঠদানে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধসে পরতে পারে। প্রাণ নাশের মতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, আমরা ভবনের বিষয় কর্তৃপক্ষকে অনেক বার চিঠি দিয়েছি তাদের কাছ থেকে এখনো কোন সারা মেলে নেই।