
অর্পণ মাহমুদ,কুষ্টিয়া থেকে –কুষ্টিয়ার ৩ কৃতি সন্তান এ বছরে দুটি করে শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন । প্রখ্যাত নাট্যকার মাসুম রেজা,গায়ক ও সুরকার এস আই টুটুল এবং গীতিকার আমিরুল ইসলাম রয়েছেন পুরুস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় । ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার পাচ্ছেন মাসুম রেজা। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ গায়ক ও সুরকারের পুরস্কার পাচ্ছেন এস আই টুটুল এবংএকই চলচ্চিত্রের ‘উথাল পাতাল জোয়ার’ গানের জন্য টুটুল এ পুরস্কার পাচ্ছেন। এই গানটিতে সুরারোপের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কারটিও পাচ্ছেন তিনিই। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার ও গায়ক আমিরুল ইসলাম (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র- বাপজানের বায়োস্কোপ)। বৃহস্পতিবার রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখার প্রজ্ঞাপনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলচ্চিত্রে গৌরবোজ্জল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার ২৫টি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মাসুম রেজার লেখা ঊল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছে বিরসা কাব্য, নিত্যপূরাণ, আরজ চরিতামৃত, জল বালিকা, শামুকবাস। টেলিভিশনে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার লেখা রঙের মানুষ এবং ভবের হাট। মোল্লা বাড়ির বউ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকারও তিনি। ভক্তরা মনে করেন এই চলচ্চিত্রের জন্য অনেক আগেই তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও বর্তমানে উপন্যাস লেখাতে মনোনিবেশ করেছেন দেশ সেরা এই নাট্যকার। ‘তুমুল প্রেমে ছোটভাই’ উপন্যাসটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এস আই টুটুল দেশের অন্যতম খ্যাতিমান সুরকার, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী। শৈশব থেকেই টুটুল নিজেকে সঙ্গীতে নিয়োাজিত রেখেছেন এবং সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যদিও তিনি পিয়ানোর উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তবুও তিনি বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন। টুটুল নিজেই একজন শব্দ প্রকৌশলী। টুটুল মূলত এল আর বি ব্যান্ড এর একজন সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ফেস টু ফেস নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন যা ২০০৫ সালে ধ্রুবতারা ব্যান্ড নামে আত্মপ্রকাশ করে। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র সেরা সঙ্গীত পরিচালকের এবং ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পীর পুরষ্কারে ভূষিত হন। তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক চলচিত্র উত্সবে নিরন্তর চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।