
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা :
নড়াইল:( মঙ্গলবার ২৩-৫-২০০১৭মে)নড়াইলে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে জামাল হোসেন ধলার নেতৃত্বে আগ্নেয়অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী আবারো বেপরোয় হয়ে উঠেছে। বিস্তারিত উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, তাদের বিরুদ্ধে পারবিষ্ণুপুর, ভোমবাগ, বুঁড়ীখালি গ্রামে ব্যাপক চাঁদাবাজী, ক্ষেতের ধান লুটে নেয়া, জমি দখল, হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ এব বিষয়ে পুলিশে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি ভূক্তভোগীদের। তবে পুলিশ বলছে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গুম-খুন, হত্যাচেষ্টা, আস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়ীখালি গ্রামের মৃত নুরো মোল্যার ছেলে জামাল হোসেন ধলা ও ভোমবাগ গ্রামের জালাল বিশ্বাসের ছেলে মফিজুর মোল্যা মফিজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ঐ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় নিজেদের একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে তারা এলাকায় প্রকাশ্যে গোলাগুলি, লুটপাট, চাঁদাবাজী, জমি-জায়গা জবর দখল, মাদক ব্যবসাসহ নির্বিবাদে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি মফিজ আগ্নেয়অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়ে বর্তমানে নড়াইল জেল হাজতে থাকলেও ধলা আদালতে আতœসমর্পন করে কিছুদিন হাজতবাসের পরই জামিনে ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে, জেল থেকে বেরিয়েই ধলা বেপরোয় হয়ে উঠেছে। তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে, ভোমবাগ গ্রামের হলদে মিয়া, রবিয়াল, বুড়ীখালির সেলি মোল্যা, মান্নু সেখ, কালু, মানু, মুজিবর মোল্যাসহ অনেকের জমির বোরো ধান ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রাম থেকে বিতাড়িত নড়াইলের পারবিষ্ণুপুর গ্রামের ওলি শেখ, মতি, রুহোলসহ বেশ কয়েকজনকে বাড়ি ফিরতে দেয়ার সর্তে তাদের নিকট থেকে আদায় করা হয় মোটা অংকের চাঁদা। এলাকার অনেকেই এমন চাঁদাবাজি, ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রানের ভয়ে এদের বিরুদ্ধে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। নড়াইলের কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্য শেখ গনি মিয়া ফসলাদী ছিনিয়ে নেয়া সংক্রান্ত কিছু খবর পাওয়ার কথা স্বীকার করে আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে, জানান, তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দাবি করে বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।