আব্দুল আলিম খান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
ডিসেম্বর মানি বাঙালি জাতির বিজয় যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এর মধ্যে দিয়ে এই মহান বিজয় দিবস পালিত হয়। সকল শহীদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আমরা তোমাদের ভুলব না।
প্রতি বছরের ন্যায় পটুয়াখালী স্টেডিয়ামে প্যারেড ও কুচকাওয়াজ এর মধ্য দিয়ে এবারও জেলা প্রশাসক আয়োজনে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসে প্রধান অতিথি ও সভাপতি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী সকাল ৮ ঘটিকায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্ত আকাশে পায়রা উড়িয়ে দিবসটির কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,সার্কেল এস পি এডিএম,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সকল প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তা। এছাড়াও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বিজয় দিবসে উপস্থিত ছিলেন। মোট ৩০ টি স্কুল এন্ড কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী প্যারেট ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি জুবিলী স্কুল, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, শহীদ স্মৃতি বিদ্যানিকেতন লাউকাঠি, ১৭ নং ডোনাভান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়,বাইতুল আমান ট্রাস্টধীন মাদ্রাসা,নেছারিয়া মাদ্রাসা, ওয়ায়েজীয়া ফাজিল মাদ্রাসা, পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাউন উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুল হাই বিদ্যানিকেতন টাউন কালিকাপুর, লতিফ মিনিসিপ্যাল সেমিনারি, শেরে বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি শিশু পরিবার, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ বি এন সি সি, পটুয়াখালী ভলান্টিয়ার, এছাড়াও পুলিশ প্যারেড দল আনসার ব্যাটেলিয়ান স্কাউট রোভার সদস্য প্যারেট ব্যান্ড বাহিনী মহান বিজয় দিবসের কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন জনসচেতনতা মুলক ডিসপ্লে চিত্র তুলে ধরা হয়। এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারী সহ সকল স্কুল এন্ড কলেজকে সান্তনা মূলক পুরস্কার এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
Please follow and like us: