৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




জয়পুরহাট জেলাকে ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ করার উদ্যোগ!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ১৪ ২০১৮, ১৮:৫২ | 709 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

মোঃ অালী হাসান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-  ভিক্ষুকদের পূর্নবাসনের আওতায় এনে জয়পুরহাট জেলাকে ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ করার উদ্যোগ নিয়েছে
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন। জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত আওতায় আনা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোটা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে জেলাবাসী যেভাবে সাড়া
দিয়েছেন তাতে সহজেই কাজটি করা সম্ভব হবে। এই কাজটিতে সফল হলে জয়পুরহাট জেলা সারাদেশে একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ইতিমধ্যে আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁর দপ্তরের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের একদিনের বেতন স্বেচ্ছায় অনুদান হিসেবে ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ডে জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছেন। নির্বাহী অফিসার ৩১ জানুয়ারি চিঠিটি উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি),উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যানসহ অনান্য দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জয়পুরহাট জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জয়পুরহাট জেলার ভিক্ষুকদের পূর্নবাসনের আওতায় এনে গোটা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণের সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। জেলার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা- কর্মচারীগণের জানুয়ারি মাসের একদিনের বেতনের টাকায় ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এরপর
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক একটি হিসাব খোলা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পত্র দিয়ে
জেলার পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ভিক্ষুকমুক্ত ফান্ডে একদিনের বেতনের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। জেলাজুড়ে কত ভিক্ষুক আছে
তার সমীক্ষার কাজ এখনো শুরু করেনি। ফান্ড সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও কত দিনের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষনা করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্তকরণের রুপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে। সূত্র জানায়, অতি সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক
মোঃ মোকাম্মেল হক আক্কেলপুর উপজেলায় আসেন। তিনি প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত
করার ইচ্ছা পোষন করেন। রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান তাঁর ইউপিকে প্রথমে ভিক্ষুকমুক্ত করার কথা ডিসির কাছে ব্যক্ত
করেন। রায়কলী ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গত বুধবার একটি সভাও করেছেন। রায়কালী ইউপির চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান হামিদ বলেন, আক্কেলপুর উপজেলার মধ্যে প্রথমে আমার ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত করার
পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ মোকাম্মেল হক জানান, `ভিক্ষুকদের পুর্নবাসনের আওতায় জয়পুরহাট জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত
করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফান্ড সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ডিসি বলেন, গোটা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কাজটি অত্যন্ত চ্যালেজিং। তবে জেলাবাসী এ কাজটিতে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমরা সফল হবো বলে আশা করছি।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET