
ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ- যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা সুরোতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক বিক্রির ঘটনায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে সত্যতা মিলেছে বলে জানাগেছে। জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম টুকু স্বাক্ষরিত যার স্বারক নং-৩৭.০২.৪১০০.০০১.১৮.০০৭.১৭.৪৪২/১, তাং-০৬/০৩/২০১৮ ইং। গত ১২ মার্চ কমিটি সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক গাজী হুমায়ুন কবীর, সহকারী পরিদর্শক জি এম সেলিম ও ঝিকরগাছা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ কামরুজ্জামান সরেজমিন তদন্ত করেন।
এছাড়া গত ২০ মার্চ-২০১৮ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের -বিঅ-৬/৬২৮৩/১৮৩৪ নং স্মারকে নিয়োগকৃত তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, (খুলনা অঞ্চল) সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, (খুলনা অঞ্চল) সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি যথাসময়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম টুকু তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে যশোর শিক্ষা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে পৃথক তদন্তেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর বাবরজান বরুনসহ কমিটির সদস্য কর্তৃক অবৈধভাবে গাছ কর্তনের সত্যতা মিলেছে এবং গাছ বিক্রির সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানাগেছে।
উল্লেখ্য. গত ১৬ ফেব্রয়ারি-২০১৮ স্কুল বন্ধের দিন ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক অবৈধভাবে গাছ কাটা হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কয়েকজন ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবে এসে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করে। যা পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ হয়। বিদ্যালয় মাঠের পাশ দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে মেহগনি, রেইন্ট্রি, কাঁঠাল, নারকেল, আমসহ বিভিন্ন প্রকার দীর্ঘদিনের পুরাতন গাছ ছিল। এর মধ্যে একটি মেহগনি ও একটি কাঁঠাল গাছ মারা যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলামসহ টেন্ডার কমিটি গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু গত ১৬ ফেব্রয়ারী টাওরা গ্রামের কাঠ ব্যাবসায়ী আব্দুল মালেক কয়েকজন কাঠুরিয়া নিয়ে বিদ্যায়য় প্রাঙ্গন হতে তড়িঘড়ি করে মৃত দুটিসহ অন্য ৬টি জীবিত গাছ কর্তন করে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা বলে জানাগেছে। ওই ঘটনায় পানিসারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নওশের আলীর করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিস এর তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন বলে জানাগেছে। ইতিপূর্বে ২০১৬ সালে ২ গাছ বিক্রির টেন্ডার হলেও বিধিবহির্ভূত ভাবে ৭টি গাছ কর্তন করা হয়েছিল বলে গ্রামবাসি জানিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি করেছেন স্থানীয়রা।