শামীম খান ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বিভিন্ন কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের নামে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন কলেজ কর্তীপক্ষ। আর পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা জোগার করতে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী পরিবারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী এতো টাকা এক সাথে জোগার করতে না পাড়ায় তার জীবন ঝড়ে যাচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পত্রে উল্লেখিত সুয়্যেমোটো রুল নং-২৫/২০১৪ এর প্রেক্ষিতে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাহাতে কোন বিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর বেশি কোন অযুহাত আদায় করতে না পারে। এমনি চিঠি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হলেও তারা সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে।
মহেশপুর উপজেলায় ২টি সরকারী কলেজ সহ ১০টি কলেজ রয়েছে। এ সকল কলেজ গুলোতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনের কাজ চলছে। খোজ নিয়ে জানা যায়,প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫-৪৫শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, বোর্ড ফি সহ ২হাজার টাকার উর্ধে নেওয়ার কথা না। যদি কেউ এর বেশি নেয় তাহলে তা ন্যায়-সঙ্গত হবে না। তিনি আরও বলেন,এ সকল কলেজ গুলোতে খোজ নিতে গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখায়। যেমন সেশন চার্জ বাকী,বেতন বাকী ইত্যাদি। তিনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
অন্যদিকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, তারা বোর্ড ফ্রি সহ অন্যান্ন বকেয়া টাকাও আদায় করার কারনে বেশি মনে হচ্ছে। শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলীও একই কথা বলেন।
মহেশপুর মহিলা কলেজের একজন প্রভাষক জানান, তারা ২২-২৫শ টাকা করে নিচ্ছে। অনেক অভিবাবক ফোন করে জানিয়েছে তাদের কাছ থেকে ৩-৪ হাজার টাকা করে ফরম পূরন বাবদ আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহামান্য হাই কোর্টের দিকনির্দেশনা থাকলেও মহেশপুরে তা মানা হচ্ছে না । এলাকাবাসী সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।