
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ-
মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় শৈলকূপা উপজেলার ১৪ নং দুধসর ইউনিয়নের ভাটই বাজারে ইউনিয়ন জাসদের এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ইউনিয়ন জাসদের সহ সভাপতি আমজেদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শৈলকূপা উপজেলা জাসদের সভাপতি শরাফত হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শৈলকূপা জাসদের সাধারন সম্পাদক আজিজ খান, সহ সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান, উপজেলা জাসদ নেতা মাছুদ করিম ।
কর্মীসভার সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও দুধসর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলজার হোসেন, কর্মীসভাটি সার্বিক পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ জেলা জাসদের কৃষি সম্পাদক ও শৈলকূপা উপজেলা জাসদের সমাজ সেবা সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিটু।
সভায় প্রধান অতিথি শরাফত হোসেন বলেন, জাসদ হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন কৃত রাজনৈতিক দল এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এদেশের মাটি থেকে জঙ্গিদের মুল উৎপাটনের সংগ্রামে জাসদ থাকবে।
জঙ্গিবাদ উচ্ছেদের সংগ্রামে ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রাখার ভুমিকা জাসদ পালন করবে। এই লক্ষে সবাইকে দলে দলে জাসদের পতাকা তলে সমাবেত হওয়ার আহবান জানান।
আতংকে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না শিক্ষকেরা !
ঝিনাইদহে স্লিপ, প্রাক-প্রাথমিক ও ল্যাট্রিন তৈরির অনুদানের টাকা নিয়ে চলছে লুটপাটের মহাৎসব ! (পর্ব এক)
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত স্লিপের ৪০ হাজার টাকা, প্রাক প্রাথমিকের ৫ হাজার টাকা ও ল্যাট্রিনের ২০ হাজার টাকা এই বছর প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য সরকার দিয়াছে।
তারমধ্যে যে যে বিদ্যালয়ে ল্যাট্রিনের সমস্যা আছে সেই সেই বিদ্যালয়ে ল্যাট্রিনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়াছে সরকার।
কিন্তু সরকারের এই শিক্ষানুরাগী প্রকল্প চরম দুর্নীতির কারনে মুখ হুবড়ে পড়তে বসেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। এই প্রকল্পের দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিরাগ ভাজন হয়ে অনেক শিক্ষকের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের মন যুগিয়ে চলতে পারেন তাহাদের জন্য কোন সমস্যা নেই।
প্রতিটা বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা থেকে ঝিনাইদহ উপজেলা শিক্ষা অফিস কে দিতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ২ হাজার টাকা সহ ৭ হাজার টাকা।
প্রাক-প্রাথমিকের থেকে ৫ শত টাকা ও ল্যাট্রিনের টাকা ভ্যাট কেটে নিয়ে ১৭ শত টাকা। হাতে পেয়েছে ১৮৩০০ টাকা সে টাকার কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিস ভাগ করে খেয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার কয়েকটি স্কুল ঘুরে যে দৃশ ফুটে উঠেছে সংবাদ প্রতিনিধির সামনে। তাহার মধ্যে পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল স্টোর রুমে ভাঙ্গা বেঞ্চ গাদা দিয়ে পড়ে আছে কিন্তু হিসাবের খাতায় দেখান হয়েছে বেঞ্চ মেরামতের খরচ, দরজার পুরান সিটকানি দেখিয়ে বলছে নতুন ক্রয় করা।
দেখে বোঝা যাচ্ছে বছর খানেক আগের ক্রয় করা। খরচের যে হিসাব দেখান হয়েছে তাহা বাজার মুল্যের থেকে অনেক বেশী। প্রধান শিক্ষক শাহানাজের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ভ্যাটের ২০০০ টাকা বাদ, আগেই ৫ হাজার টাকা এ টি ও কে দিয়ে স্লিপের ৪০ হাজার টাকা আমাদের স্কুলের হিসাব নম্বরে জমা পড়েছে।
এ ভাবেই প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের বাধ্য করা হয়েছে। সেই টাকা মিলাতে আমাদের এই ভাবে খরচের হিসাব দেখাতে হচ্ছে। আমি যে কথা বললাম যদি আপনারা সেই গুলি কাগজে তুলে ধরেন তাহলে আমার চাকুরীতে থাকা মুস্কিল হয়ে পড়বে। আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা হবে।
এ ভাবে আকুতি জানান তিনি। কোদালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে স্লিপের টাকার সাথে ভাওচারের টাকা বাজার মুল্যের বাজার মুল্যের সাথে অসঙ্গতি দেখা যায়। তবে উনি বলেছেন শিক্ষা অফিসকে কোন টাকা দিতে হয়নি।
পোড়াহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকার কারনে সহকারী শিক্ষকেরা স্লিপের টাকার বিষয়ে কোন খরচের হিসাব সাংবাদিকে দেখাতে পারেনি। পরবর্তী ধারাবাহিক পর্বে থাকছে অন্যান্য বিদ্যালয়ের স্লিপ, প্রাক প্রাথমিক ও ল্যাট্রিন তৈরির টাকার লুটপাঠের খবর।