শামীম খান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ- ঝিনাইদহ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু,মঙ্গল বার বিকালে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার সালেহা খাতুন মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে অবস্থিত বিসমিল্লাহ ফ্যাশন হাউস এর রিয়া পারভিনকে সাবলম্বী করার লক্ষে সহায়তা বাবদ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার সিট কাপর প্রদান করেন। বিসমিল্লাহ ফ্যাশন হাউস এর রিয়া পারভিন জানান, আমার স্বামীর নাম জমিরউদ্দিন মিয়া। তিনি আজ থেকে দুই বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। তিনি কোথায় আছে আমরা জানিনা আমাদের কোনো খোজ খবর ও তিনি রাখেন না। আমার তিনটি সস্তান। তারা সবাই লেখাপড়া করে। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তার রিমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী, মেজ মেয়ে টানিজ মোবাশ্বিরা উর্মী রাজশাহী নিউ গভরমেন্ট ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষে এবং ছোটো ছেলে মোঃ ফেরদৌস হাসান মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করে। আমার সন্তানদের আমার পক্ষে লেখাপড়া সহ অন্যান্য খরচ চালিয়ে নেওয়া খুব কষ্টের। কিছু টাকা জোগাড় করে চোট্ট একটা টেইলার্স এর দোকান দিয়েছি। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অর্থীক অবস্থা কম হওয়ায় সেটাও চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমি মেয়র মহোদয়ের কাছে অর্থিক অনুদানের জন্য সহায়তা চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার সিট কাপড় দিয়েছেন। আশা করছি এই সহায়তার মাধ্যমে আমি আমার টেইলার্স এর দোকানটি ভালোভাবে চালাতে সক্ষম হতে পারবো। তিনি আরো বলেন আমার ছোটো ছেলেটি প্রতিদিন আনেক দুর থেকে কষ্ট করে পায়ে হেটে স্কুলে যায় কেউ যদি দয়া করে একটি বাইসাইকেল দিতো তাহলে ছেলেটি আমার স্কুলে যাবার পাশাপাশি আমাকে আরো বেশি বিভিন্নকাজে সাহায্য করতে পারতো। মেয়র মিন্টু জানান, রিয়া পারভীন একজন অসহায় নারী, তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী। তারা সবাই লেখাপড়া করে। রিয়া পারভীন অনেক কষ্টে নিজে কিছু টাকা জমিয়ে একটি টেইলার্সএর দোকান দিয়েছেন কিন্তু দোকানের প্রয়োজন অনুপাতে মালামাল খুবই কম । এই দোকানের আয়ের অর্থ দিয়েই তিনি তার তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, খাবার সহ অন্যান্য খরচ কোনো ভাবে চালিয়ে আসছেন। পরিবারটি আমার কাছে সাহায্যের আবেদন করলে আমি চেষ্টা করেছি পরিবারটির পাসে দাড়াতে। তিনি আরো বলেন, শুধু আমি না , আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। একে অপরকে সহযোগিতা না করলে উন্নতি করা সম্ভব নয়। সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে মায়েরা অনেক কষ্ট করে। তাই তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।