
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ, এজিএসপি, গর্ভকালীন মাতৃত্ব ভাতা ও ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড বিতরণে অসচ্ছতার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ জন নির্বাচিত ইউপি সদস্য এক লিখিত অভিযোগে এ সব তথ্য জানান। তাদের লেখা অভিযোগটি বুধবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর আনোয়ার হোসেন, আকতার আলী, মনিরুজ্জামান টোকন, কলিমুদ্দীন, ছালিমা খাতুন, নজরুল ইসলাম, মকলেচুর রহমান ও আমজাদ হোসেন সাক্ষর করেছেন।
অভিযোগ পত্রে ইউপি সদস্যগন উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যান নিজে ব্যক্তিগত ভাবে ভিজিএফ, এজিএসপি, গর্ভকালীন মাতৃত্ব ভাতা ও ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড বিতরণ করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা জনগনের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত হলেও তাদের কোন মতামত নেওয়া হচ্ছে না। নিজে খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও তার মেয়ে রুখসানাকে ১০ টাকা কেজির কার্ড দিয়েছে চেয়ারম্যান, শরিফুল ইসলাম গাড়ি বাড়ির মালিক। মাঠে ও ঝিনাইদহ শহরে জমি আছে। নগরবাথান এমএ খালেক কলেজের প্রভাষক জামির হোসেন ও ডেফলবাড়িয়া স্কুলের শিক্ষক জাহিদকে ১০ টাকা কেজির কার্ড দেওয়া হয়েছে।
কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি জামাল মিস্ত্রির কার্ড দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের সাথে থাকা কাসেম ও আনোয়ারের পরিবারে একাধিক ১০ টাকা কেজির কার্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ কত হতদরিদ্র মানুষ কার্ড পায়নি।
বিষয়টি তারা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মেম্বররা অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাদের মধ্যে সমন্বয় করে দিয়েছি। আশা করা যায় ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।