ফেনীর দাগনভূঁঁঞা উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সময় কাটে আতঙ্কে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচটি আবাসিক ভবনের সবই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৮৬ সালে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫.৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। গত কয়েক বছর থেকে ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হতে থাকে। এরই মধ্যে পাঁচটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে তিনটি আবাসিক ভবন নিলামে দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি আবাসিক ভবনও ভাঙার জন্য নিলাম প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। ছাদ ও দেয়ালের স্থানে স্থানে পলেস্তারা খসে পড়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতেই সিড়ির ওপর চোখ পড়ে। দেখা যায়, বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ে ছাদ নষ্ট হয়ে পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করেছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক ভবনে ইউএনওর কার্যালয় ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান কার্যালয়, প্রকৌশল বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ, মৎস্য অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা কার্যালয়, প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়, পরিসংখ্যান ও হিসাব বিভাগের কার্যালয় রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পাঁচটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তিনটির নিলাম হয়েছে ও দুটির নিলাম প্রক্রিয়া চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাইরে ভাড়া বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় নতুনভাবে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, পরিষদ ভবনটি দ্রুত সময়ে নতুন করে নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিতভাবে প্রস্তাব পাঠানো হবে