নয়া আলো ডেস্কঃ- আমাদের এই স্বাধীন বাংলায় আর কতো বাবা মা সন্তান হারা হবে ।
আজকের এই স্বাধীন বাংলায় আমাদের ঝন্টু শাহ্ ভাইয়ের মতো মানুষ তার মেয়ের মৃত্যু প্রোষ্টার নিয়ে আর কতো দিন এভাবে সে রাস্তায় ঘাটে ঘুড়ে বেড়াবে । বলবে বিচার চাই।
প্রেম করার অপরাধে মেহেরপুরের ঝিলিক নামে একজন কলেজ ছাত্রী ২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবর আত্মহত্যা করেছিলেন।
একটি আত্মহত্যা হয় তখনি যখন বড় ধরনের হুমকির বা নির্যাতনের মুখামুখি হতে হয়। সেই হুমকি বা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেই। একটি একটি আত্মহত্যার পেচনে কয়েক জন আসামী থাকে, হয়ত বা তাদের সেল্টার আছে বলে তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে এবং দোষ করার পরও স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করে।
এমন একটি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে মুজিব নগর মেহেরপুরের মোহাম্মদ ঝন্টু শাহ নামের এক অসহায় পিতার। প্রতিদিনের মত ঝন্টু শাহ সেইদিনও হাসপাতালে চাকরির উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ১০ টাই ঘর থেকে বের হয়। তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার পর তার মেয়ে ঘরে বসে টিভি দেখতেছিল ,ঠিক তখনি কয়েকজন সন্ত্রাসী তার ঘরের মধ্যে ডুকে তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং শারীরিক নির্যাতন করে চলে যাই। তার পরের দিন মেয়েটি একটি সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেই।
মুজিব নগর মেহেরপুরের ঝন্টু শাহ’র একমাত্র মেয়েটি সরকারি মহিলা কলেজের তথ্যপ্রযুক্তি ও মনোবিজ্ঞানীর ছাত্রী ছিলেন। তার মেয়ের নাম হল ঝিলিক। মেধাবী ছাত্রী ঝিলিক ২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবর আত্মহত্যা করেন। যাদের জন্য তার নিরহ মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও বিচার পাইনি এই বঙ্গবন্ধুর পাগল মোহাম্মদ ঝন্টু শাহ।
ঝান্টু শাহ তার মেয়ের বিচার চেয়ে গত এক বছর ধরে ফেইজবুকে অনেকবার লিখা লিখি করেও বিচারের ধারে কাছে যেথে পারেনাই। মোটা অঙ্কের টাকার কাছে হার মানতে রাজি নন ঝিলিকের পিতা অসহায় ঝন্টু শাহ। তিনি নারি নির্যাতনের মামলা করেছে ঠিকি কিন্তু পুলিশ টাকার বিনিময়ে মামলার কোন তদন্ত করেন নি।
আমরা অসহায় ঝন্টু শাহ’র মেয়ে ঝিলিক হত্যার বিচার চাই, যারা তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।