বরিশাল প্রতিনিধিঃ- পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের দুই ওয়ার্ডবয়সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে নগদ চার লাখ টাকাসহ পাঁচ লাখ ও দুই লাখ টাকার দুটি চেক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া এলাকার রেজাউল সরদার (১৯) ও শাহারিয়ার জয় (১৯) এর কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আটক দুই ওয়ার্ডবয় নগদ চার লাখ টাকা নিয়েছে। তারা প্রার্থীদের টাকার নিশ্চয়তা হিসেবে জনতা ব্যাংকের আবু হানিফ বেপারীর একটি একাউন্ট থেকে পাঁচ লাখ ও দুই লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করেছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মোঃ আবু হানিফ বেপারী (৫০), সায়েদুর রহমান খান (৪৫) ও তাদের সহযোগী (মধ্যস্থতাকারী) গৌরনদীর বাসুদেবপাড়া গ্রামের সেকান্দার হাওলাদারকে (৪৪) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ চার লাখ টাকা ও দুটি চেক উদ্ধার করা হয়।
মধ্যস্থতাকারী সেকান্দার হাওলাদার ওয়ার্ডবয় আবু হানিফ বেপারীর সম্পর্কে ফুপাতো ভাই। পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের রাতেই জব্দ আলামতসহ কোতোয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ জহির বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রমে বরিশাল জেলা পুলিশের অধীনে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ ১০ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এ নিয়োগ কার্যক্রমে অসাধু চক্ররা আবেদনকারীদের চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা লেনদেন করছে। এর আগে মঙ্গলবার লিখিত পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মোবাইল ফোনের ফেসবুকের মাধ্যমে তা প্রচারের অভিযোগে পরীক্ষার্থী বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা শেখর চন্দ্র শীল ও তার সহযোগী মাইনুল ইসলাম শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন তাদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।