চাঁদপুরে ঢাকনাবিহীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মারা যাওয়া শিশু আছমা আক্তার পাখির পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা, বর্থ্যতা ও অবহেলাকে কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রবিবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহণ সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (পোর্ট), চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, চাঁদপুর সদর থানার ওসিসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি ৩০ অক্টোবর তালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
ওই ঘটনায় ‘সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু’ ও ‘বিআইডব্লিউটিএর সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু’ প্রভৃতি শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
এসব প্রতিবেদনে জানানো হয়, চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার বিআইডব্লিউটিএর খোলা মাঠে প্রতিদিনই খেলাধুলা করে স্থানীয় শিশু-কিশোররা। ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় আলমগীর হাওলাদারের তিন বছরের মেয়ে আছমা আক্তার পাখি বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে ওই মাঠে খেলছিল। খেলতে খেলতে সবার অজান্তে সে মাঠের পাশে বিআইডব্লিউটিএর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে তাকে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে চিল্ড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল হালিম গত ১২ মে রিট আবেদন করেন।
আজ আদালতে রিট আবেদনকারী আবদুল হালিম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।