
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ- বরিশাল সওজ এর সড়ক সংস্কারের ছয় মাস না হতেই পূর্বের রুপে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে আগৈলঝাড়া থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের সমস্ত অংশ। সওজ’র কর্র্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র সংস্কার কাজ করে বরাবরই কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার বিল উত্তোলন করে লুটপাট করে নিচ্ছে বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। বর্তমানে সড়কটি স্থানীয়রা ডেলিভারী সড়ক নামে আখ্যায়িত করেছে।
বরিশাল সওজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা থানা সদর থেকে ডাসার সড়কের রাজিহার-বাশাইল হয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর সীমান্ত ঘোষেরহাট পর্যন্ত ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে দশ মাস আগে সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ দেয়া হয় বরিশালের মেসার্স জেবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। মুল ঠিকাদারের কাছ থেকে গৌরনদীর ফরহাদ মিয়া কাজটি ক্রয় করে নিন্মমানের খোয়া ও বিটুমিন দিয়ে সওজ’র এসও হানিফ মিয়ার তত্বাবধানে নাম মাত্র কাজ করে কাজ শুরু করে। ওই সময় এসও হানিফ মিয়া ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়ে আর সাইটে আসেননি তিনি। ম্যানেজ হওয়া ঠিকাদার সাইটে না আসার ফলে স্থানীয় বাধার কোন তোয়াক্কা না করে নামকাওয়াস্তে সংস্কার কাজ করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদার।
অত্যন্ত নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নামমাত্র সংস্কার করায় ছয় মাস যেতে না যেতেই খোয়া ও বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্ত আর পূর্বের খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সড়কটি। সড়কটির বর্তমান দশায় কোন রোগী বা যানবাহন চলাচল করতে চাচ্ছে না। পুরো সড়ক জুড়েই খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হওয়ায় রাতে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পরে ঘটছে অহরহ দূর্ঘটনা। বর্তমানে সড়কটি স্থানীয়রা ডেলিভারী সড়ক নামে আখ্যায়িত করেছে।
উপজেলার অন্যতম প্রধান ব্যস্ততম এই সড়কে রিক্সা, ভ্যান, মাহিন্দ্র, ইজি বাইক, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ব্যবহার করলেও এর সংস্কারের জন্য সওজ কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, সড়কটি জন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আরও চওড়া করা হবে। তাই ওই সড়কে বর্তমানে কোন সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না। তবে কবে নাগাদ উন্নয়ন কাজ শুরু হবে তা তিনি বলতে পারেন নি।