
ডুমুরিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সাবেক এক অফিস সহকারীর বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ৫আগস্ট রাতে এ ভাংচুর চলে। তবে চলমান পরিস্থিতি শিথিল না হওয়ায় থানায় এখনো অভিযোগ করতে পারেনি ভুক্তভোগী অশোক দাস।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশব্যাপী শুরু হয় ভাংচুর ও লুটপাট। এই সুযোগে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী দলের লোক পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। তারই ধারাবাহিতকায় রাত ১০টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ডুমুরিয়া সদরে এক হিন্দু পরিবারের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা। ক্ষতিগ্রস্থ অশোক দাস জানান, তার শত বছরের ভোগ দখলীয় ৬১ শতক পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্য থেকে রাস্তার জন্য ১.৬৫ শতক জমি ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষদের দাবী আরো জায়গা ছাড়তে হবে। মূলত এ নিয়ে দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ বিরোধ চলে আসছে তাদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিরা শালিশী বৈঠক করলেও কোন সুরাহা হয়নি। আ’লীগ সরকার পতনের রাতে প্রতিপক্ষ আঞ্জু বেগম, তার ছেলে সাগর ও ভাই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দুষ্কৃতিকারীর দল ফিল্মি স্টাইলে ৬ফুট উচ্চতার এবং ২৫০ ফুট দৈর্ঘের প্রাচীর ভেঙ্গে ক্ষতিসাধন করে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-অমিন জানিয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, দুষ্কৃতিকারীরা কেউ ছাড় পাবেনা। যারা জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।
Please follow and like us: