খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের সুখ নদীর ওপর বাঁশ-কাঠের সাঁকোটি আট বছর আগে ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে গ্রামবাসীর চাঁদার টাকায় সাঁকোটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ভোগান্তি কমেছে ওই এলাকার ৭ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষের।
জানা গেছে, উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের কাছে মাগুরখালী ও পশ্চিম পাতিবুনিয়ার সংযোগ সড়কে সুখ নদী। ৪০বছর আগে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে তৎকালীন মাগুরখালী ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত অতুল কৃষ্ণ সানা এই সুখ নদীর ওপর একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময় সংশি¬ষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল ওই ব্রীজটি সংস্কার করেন। এরপর ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় মানুষের চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউটি চেয়ারম্যানকে বার বার জানানো হলেও তিনি সাঁকোটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। গ্রামবাসীর অভিযোগ উপজেলা নির্বাচনের সময় গ্র“পিং- এর কারণে গত পাঁচ বছরেও ভাঙ্গা সাঁকোটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে সুখ নদীর ওপর সাঁকো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। পার-মাগুরখালী গ্রামের কানাই লাল সরদার, কৃষক কালিদাস মন্ডল ও সুভাষ মন্ডল বলেন, মাগুরখালী ইউনিয়নটি হিন্দু অধ্যুষিত দুর্গম এলাকায়। এখানে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ আ’লীগের সাথে যুক্ত। ভাঙ্গা ব্রিজ সংস্কার হওয়ায় ইউনিয়নের সাতটি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র মন্ডলের ভাই সুজিৎ চন্দ্র মন্ডল বলেন, নিজ অর্থায়নে এবং এলাকার সুধীজনের আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার সকল শ্রেণী পেশজীবি মানুষ খুশি। পূর্বের ন্যায় সুখ নদী ওপর সাঁকো দিয়ে মানুষ সুন্দরভাবে চলাচল শুরু করেছে।