
মেহেদী হাসান,খুলনাঃ-সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপক্ষে খবর প্রকাশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামীগের ও সহযোগী সংগঠনের একাংশ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে নেতা কর্মীরা গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ডুমুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে দুই ঘন্টা সড়ক অরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃত্ব ও বক্তব্য দেন, শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার, সরদার আবু সালেহ, ইউপি চেয়ারম্যান হুমাউন কবির বুলু প্রমুখ। তবে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্য বক্তরা সাবলীল ভাষায় বক্তব্য দিলেও অতি উৎসাহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব গোবিন্দ ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অভিন্ন ভাষায় স্থানীয় দুই একজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে অন্যান সাংবাদিকদের উদ্যেশ্যে বলেন, যদি কোন সাংবাদিক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি’র বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করা হয়, তবে সেই সাংবাদিককে প্রকাশ্যে রাজপথে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তাছাড়া সাংবাদিক ও সংবাদ পত্র সম্পর্কে তারা অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেন। যা গোটা ডুমুরিয়ার সাধারণ মানুষ ও কর্মরত সাংবাদিকদের ভাবিয়ে তুলেছে। এমকি এ সময় উপস্থিত খুলনা থেকে আগত এবং ডুমুরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে বিরুপ প্রকৃক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ১১ থেকে দুপুর ১টা পর্যান্ত দুই ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধ ও সমাবেশ করায় সড়কে শতশত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ছেড়ে আসা দুর পাল্লার বাস যাত্রীদের দুভোর্গের অন্ত ছিল না।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরউদ্দিন আল মাসুদ বলেন, আওয়ামীলীগের পরিচয়ে যে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী হয়েছে, এটি দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয় আমার সাথে কেউ আলোচনা করেনি বরং প্রকাশিত সংবাদগুলো সাংবাদিকরা সত্য লিখেছেন। আর অতি উৎসায়িত কিছু লোক তারা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। এটা বেশি মাত্রার বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ (এমপি) বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার এপিএস সমীর দে গোরা এবং পূজা উদযাপন পরিষদের কতিপয় নেতা উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দের জি,আর চাল ও প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অনুদান প্রদানের প্রাক্কালে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা পূজা মন্ডপগুলোর নেতৃবৃন্দকে পূব ঘোষণা ছাড়াই মানবন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন।