
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ
থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র কারণে সৃষ্ট জলেচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থদের
মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেললার
লতাবুনিয়া এলাকায় অতিমাত্রায় জলোচ্ছাস বৃদ্ধিতে ভাঙ্গন কবলিত
মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
ওবাইদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম
ফিরোজ আহম্মেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীনা মজুমদার,
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন
প্রমুখ। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৬০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ
সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ডুমুরিয়ায় জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘের ভেসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
চুকনগর প্রতিনিধি ঃ খুলনার ডুমুরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র
প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নদীর তীরবর্তী উপকূলীয় এলাকার প্রায়
দেড় হাজার ঘের প্লাবিত হয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে শুরু হওয়া
জোয়ারের পানি ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তুমুল গতিতে ভিতরে পানি প্রবেশ
করতে শুরু করে। সন্ধ্যার ভিতরে প্রায় দেড় হাজার মৎস্য ঘের পানিতে
তলিয়ে যায়। এছাড়া বাঁধ উপচে ও স্লুইচ গেট দিয়ে জোয়ারের
পানি প্রব্ধেসঢ়;শ করে উপজেলার মাগুরাখালি, শরাফপুর, শোভনা, সাহস,
খর্ণিয়া, রুদাঘোরা ইউনিয়নের চিংড়ি ও মাছের ঘের তলিয়ে
গেছে। এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ আবু বক্কর
সিদ্দিক বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১৮০০হেক্টর
আয়তনের ২৬৫০টি ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এতে
প্রায় ১০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা
মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আবু সাইদ বলেন, জেলার প্রধান
নদ নদী গুলোতে জোয়ারের পাানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় দাকোপ,
বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কিছু
এলাকায় বাঁধ উপচে ও স্লুইচ গেট দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশের
সংবাদ পেয়েছি। এতে মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। একারণে জেলার
কতগুলো মৎস্য ঘের ভেসে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সংক্রান্ত
তথ্য সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাগনদের
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।