মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন দেশের এ কৃতি সন্তান।
আজ ৯ মে ২০১৮ রোজ বুধবার বাদআছর টাউনহল ফল মার্কেট (চতুর্থ তলা) মোহাম্মদপুর ঢাকা, বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার এর নতুন পাঠকক্ষ উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত স্মরণ সভা ও পাঠকক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এম.পি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৩ আসনের উন্নয়নের রূপকার জননেতা এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক এম.পি, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জনাব সেলিমা খাতুন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত সচিব) জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিটিসিএল এর জনাব মাহফুজ উদ্দিন আহমদ, সভায় সভাপতিত্ব করেন, জনাব সিদ্দিক হোসেন চৌধুরী সভাপতি বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটি, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, নূরুন নবী ভোলা সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটি এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ।এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে স্মরণসভা, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নিরহংকার, নির্লোভ ও প্রচারবিমুখ একজন মানুষ। তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে যে কাজ করে গেছেন জাতি তা গভীর শদ্ধার সাথে স্মরণ করে। তার কর্মের জন্য শুধু আমাদের কাছে নন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে তাঁর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ওই বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লালদিঘীর ফতেহপুরে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম আবদুল কাদের মিয়া ও ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‘সুধা মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তিনি সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।