ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাকিব নামের এক যুবককে রাতের আঁধারে উঠিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে গোলকপুর ৩ নং ওয়ার্ডের গোলকপুর আলিম মাদ্রাসার সামনে এই ঘটনা ঘটে।আহত রাকিব (২৬) বর্তমানে তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন ধরে গোলকপুর এলাকার আছর উদ্দিন ফরাজি বাড়ীর বাবুল এবং তার ছেলের সাথে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। এক পর্যায়ে স্থানীয় শালিস এর মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন কিন্তু ওই বিষয়টি কেন্দ্র করে বাবুল এবং তার ছেলে সহ এলাকার কিছু সন্ত্রাসী রাকিবকে স্থানীয় বাজার মুচিবাড়ির কোনার উওর পাশে থেকে রাতের আঁধারে হাত মুখ বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়।তাকে হামলা করলে পথচারীরা দেখে ফেলার কারনে অজ্ঞান অবস্থায় রাকিব কে পানির টাংকির দিকে নিয়ে যায়,সেইখানে হত্যার উদ্দেশ্য পুনরায় তাকে হামলা করা হয়,মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সেইখানে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে তার মা সহ তিন চার জন মিলে স্থানীয় কিছু লোক সহ আনুমানিক দুই ঘন্টা খোজাখুজির পর রাত ১২ টার দিকে তাকে নীরব মেম্বার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থা পাওয়া যায়, তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ১০/১২ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে।
উক্ত ঘটনারবাদী হয়ে আহত রাকিব হোসেন মোট ১০ জন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।আসামি ব্যক্তিরা হলেন ০১। মোঃ বাবুল হোসেন, পিতা-অজ্ঞাত, ০২। মোঃ রায়হান, ০৩। নূর উদ্দিন, উভয়পিতা-মোঃ বাবুল হোসেন, ০৪। সোহরাব, পিতা-অজ্ঞাত, ০৫। বল্লা শরীফ, পিতা- অজ্ঞাত, ০৬। আরিফ হোসেন, পিতা- তোফাজ্জল, ০৭। নয়ন, পিতা-হারুন, ০৮। মোঃ আল আমিন, পিতা-অজ্ঞাত, ০৯। মোঃ রাসেল, পিতা- অজ্ঞাত, ১০। আবুল হাসেম, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-গোলকপুর, ০৩ নং ওয়ার্ড, থানা- তজুমদ্দিন, জেলা- ভোলাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন।
জানতে চাইলে আহত রাকিব বলেন আমাকে বাবুল,তার ছেলে এবং তাদের সাথে কিছু সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে অজ্ঞান করে রেখে যায় এবং আমার সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
তার বড় ভাই ইব্রাহিম বলেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে এই জন্য দুঃখ করিনা যেই ভাবে ভাইকে আঘাত করেছে জীবিত পেয়েছি এই জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,,এলাকার মধ্যে অনেককে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেন।কেউ কিছু বললে সন্ত্রাসী কায়দা মারতে আসে এবং কোনো কথা বললে এলাকায় থাকতে দিবে না এমন হুমকিও দিয়ে থাকেন।এদিকে অভিযুক্ত বাবুল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যাইনি,একাধিক বার তার মোঠফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
Please follow and like us: