কুমিল্লা প্রতিনিধি- কুমিল্লায় কলেজছাত্রী ও নাট্য কর্মী সোহাগী জাহান তনুর ডিএনএ পরীক্ষার বিস্তারিত প্রতিবেদন ঢাকার সিআইডি সদর দফতরের ল্যাব থেকে কুমিল্লায় পৌঁছেছে।
সোমবার রাতে ডিএনএ প্রতিবেদনের কপি কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এসে পৌছেছে বলে সিআইডি সুত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগকে পুর্নাঙ্গ ডিএনএ প্রতিবেদনের কপি হস্তান্তর করতে পারে সিআইডি।
সোমবার রাতে সিআইডির বিশেষ একটি সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিআইডি সুত্র জানায়, সোমবার রাতে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ থেকে ওই প্রতিবেদন কুমিল্লার সিআইডির কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।
এর আগে গত রোববার বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম ডিএনএর পুরো প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগকে হস্তান্তর করার জন্য সিআইডিকে আদেশ দেন।
আদালতের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ডিএনএর সাতটি পরীক্ষার প্রতিবেদনই মেডিকেল বোর্ডকে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে তনুর লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাদা প্রাসাদ সাহা বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসলেই বোর্ডের সদস্যদেরকে নিয়ে জরুরি সভা করে সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
গত ২০ মার্চ কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজ এলাকার পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
পরদিন ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কোন কারণ ও ধর্ষণের আলামত উল্লেখ না করায় দেশ ব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে।
পরে আদালতের আদেশে ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে।
প্রায় ২ মাসেরও বেশি পার হলেও সেই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো সিআইডিকে দেয়নি ফরেনসিক বিভাগ।