মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের স্বৈরাচারী সরকার দেশটি প্রধান ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক রেনেসাঁ পার্টি অব তাজিকিস্তানের প্রধান মুহিদ্দিন তিলোভিচ কবিরি জানিয়েছেন, তার দলের শীর্ষস্থানীয় ১৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের এখন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা কবিরি রবিবার আলজাজিরাকে বলেন, গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
‘তাজিকিস্তানের অবস্থা করুণ। আমরা জানি রাজনৈতিক শক্তির ভৃত্য সরকারি কৌঁসুলিরা আদালতে আমাদের পাঁচ নেতার যাবজ্জীবন এবং বাকিদের ৩০ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে আবেদন করেছেন,’ বলেন কবিরি।
‘আদালত স্বাধীন নয়। আমরা জানি অনায়াসেই আদালত অন্যায় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাজা দেবে।’
যারা কারাবন্দী রয়েছেন তাদের অন্যতম হলেন দলটির দুজন উপপ্রধান সৈয়দ ওমর হোসেইনি এবং মুহাম্মদ আলি হায়েত।
গত মার্চ মাচে রেনেসাঁ পার্টির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হলে দেশত্যাগ করেন কবিরি।
তিনি বলেন, তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রখমন শান্তির দ্বার বন্ধ করে দেয়ায় দেশটি এখন সহিংস বিদ্রোহের দ্বারপ্রান্তে।
জানুয়ারি মাসে সংসদে বক্তৃতায় রখমন সরকার উৎখাতের অভিযোগ তোলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত সেপ্টেম্বরে ইসলামিক রেনেসাঁ পার্টি গায়ের জোরে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল।
তার ভাষায়, নিরাপত্তা বাহিনী এসব ‘সন্ত্রাসীদের’ গ্রেপ্তার করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে।
১৯৯২ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন রখমন। ২০২০ সালে তার বর্তমান চতুর্থ মেয়াদ শেষ হবে। সংবিধানে তার আবার নির্বাচিত হওয়ার ওপর যে বিধিনিধেষ আছে তা তুলে নিতে দেশটিতে একটি গণভোট হবে ২২ মে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, রখমনের ২৩ বছরের শাসন সহিংসতা, জবাবদিহিহীনতা, দুর্নীতি এবং দেশত্যাগের ঘটনায় ভরপুর।
এছাড়া ধর্ম এবং রাজনৈতিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।