২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দই মেলা অনুষ্ঠিত”নেই আগের মতো জৌলশ




তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী দই মেলা অনুষ্ঠিত”নেই আগের মতো জৌলশ

শফিকুল ইসলাম. তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ ,করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ১৪ ২০২৪, ১৬:৩৯ | 706 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

তাড়াশে চলছে আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইমেলা, তবে মেলায় নেই আগের সেই জৌলুস। দিন দিন ক্রেতা কমে যাওয়ার সঙ্গে কমেছে দোকান ও বিক্রেতাও। ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকলেও হারিয়ে গেছে মেলার সেই প্রাণ। বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকার বিক্রেতারা দই ও মুড়ি নিয়ে বাজারে আসতে শুরু করেন, সারাদিন চলবে বেচা কেনা। তবে মেলায় চোখে পড়েনি আগের সেই জৌলুস। এটি মূলত শ্রী পঞ্চমী মেলা হলেও এলাকাবাসীর মুখে দইমেলা নামেই পরিচিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দিনব্যাপী দইয়ের মেলাটি আড়াইশ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা দই, ঝুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মুড়ি, বাতাসা, কদমা,জিলাপিসহ রসনাবিলাসী নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলা চলবে সারা দিন। অনেকে সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছেন। তারা সবাই দই, মুড়ি-মুড়কি কিনে বাড়ি ফিরছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম পঞ্চমী তিথিতে দইমেলার প্রচলন করেছিলেন। তিনি দই ও মিষ্টান্ন খুব পছন্দ করতেন। তাই সেই সময়ে জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে দই পরিবেশন করা হতো।
আর সেই থেকে জমিদার বাড়ির সামনে রশিক রায় মন্দিরের মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী দইমেলার প্রচলন শুরু হয়। সেই থেকে প্রতি বছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে দইমেলার আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, প্রতি বছর মেলায় আসা সবচেয়ে ভালো দই তৈরিকারদের জমিদারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করার প্রথা চালু ছিল। বিক্রেতা উজ্জল কুমার ঘোষ, বিধান ঘোষ ও মিলন কুমার ঘোষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নানা জায়গা থেকে মেলায় এসেছে বাহারি নামের নানা দই। তার মধ্যে ক্ষীরসা দই, শাহী দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, শ্রীপুরী দই অন্যতম। পাশাপাশি বড় বড় হাড়িতে রয়েছে দই। বর্তমানে দুধ, চিনিসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় দইয়ের দামও বেড়েছে অনেকটা। তাড়াশ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুগ্ন সম্পাদক তপন কুমার গোস্বামী  বলেন, মূলত পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যবাহী এই দইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাড়াশের ২৫০ বছর পূর্বে তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথমে দইমেলার প্রচলন করেছিলেন। তারপর থেকে এটা যেন এলাকার একটা রেওয়াজ ও আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়। আমরা ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মেলায় গিয়েছি। আমাদের সন্তানরাও আমাদের হাত ধরে মেলায় যাচ্ছে। তবে মেলার আগের সেই জৌলুস নেই।তিনি আরও বলেন, আগে মেলায় মানুষের ভিড় বেশি থাকায় ঢোকাই যেত না। কিন্তু এখন আর আগের মতো মেলা নেই। এখন আর মেলা উপলক্ষে নেই সাজ সাজ ভাব, আসে না জামাই বা আত্মীয়-স্বজনরা। তাড়াশ উপজেলার সংগীত শিক্ষক ও দই ক্রেতা গোপীনাথ সরকার  বলেন, ঐতিহ্য মেনে এখনো তাড়াশে দইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে মেলা হলেও সেই জৌলুস আর নেই। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দই ও চিড়া মুড়ি কিনতে এসেছি। মেলা সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে যা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।
Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET