শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল এলাকায় এখন চলছে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম। ফসলী মাঠ জুড়ে পাকা ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। এ সময় বিলাঞ্চলে ধান কেটে মাড়াই শেষে ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে, কাক ডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত। এ সময় কৃষাণ – কৃষাণীর যেন দম ফেলার সময় নেই। এরই মধ্যে চলতি মাসের ২১ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রার্থীরা দিন-রাত ভোটারদের কাছে মাঠে-প্রান্তরে দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করে চলছেন। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসলেও এখনও জমে ওঠেনি নির্বাচনী মাঠ। এলাকায় বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমনটি নির্বাচনী সাড়া এখনও ফেলেনি। এমনটাই বললেন নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটাররা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলা ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। চলতি মাসের ২১ তারিখে তাড়াশে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। আর আসন্ন এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার ও দোয়াত কলম প্রতীকে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বাল্ব প্রতীক নিয়ে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, তালা প্রতীকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক পিয়াস এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ম.ম. জর্জিয়াস মিলন রুবেল চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
এ ছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম মিনি, ফুটবল প্রতীক নিয়ে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাহফুজা আক্তার, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মর্জিনা ইসলাম ফ্যান প্রতীক, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভীন প্রজাপতি প্রতীক ও মোঃ নাজমা খাতুন হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। এলাকার সাধারণ ভোটাররা জানান, আগামী ২১ তারিখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় ধান কাটা পুরোদমে চলছে। ফলে নির্বাচন তেমনটা জনগণের কাছে উৎসব মূখোর এখন হয়ে না ওঠায় নির্বাচনী মাঠ ততোটা জমে ওঠেনি। বাকি কয়েক দিনের মধ্যে মানুষের কাজ-কর্ম কিছুটা কমে গেলে হয়তো নির্বাচন জমে উঠবে। ভোটাররা আরো জানান, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে এখনো নির্বাচনী এলাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থীরা তাদের সমর্থিত লোকজন নিয়ে এলাকার ভোটাদের বাড়ি বাড়ি, রাস্তা ঘাটে, চা-স্টলে ও হাট-বাজারসহ জনসমাগম স্থানে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই আশা করছেন সচেতন ভোটাররা।
Please follow and like us: