ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জ তাড়াশের গুল্টা পশুর হাটে ইজারাদারের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গুল্টা পশুর হাটে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (১১ জুন) হাটে প্রতি গরুর জন্য ক্রেতার নিকট হতে ৪০০ টাকার স্থলে ৫০০টাকা এবং বিক্রেতার নিকট থেকেও ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হয়েছে। যা সরকার নির্ধারিত টোলের চেয়ে প্রতি গরু ২০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল-ভেড়া ১০০ টাকা বেশি। হাটে গরু, ছাগল ক্রয় করে খাজনা’র টাকা দিতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে। উপজেলার লাউশুন গ্রামের হাবিবুর রহমান গরু কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি ৭২ হাজার টাকা দিয়ে গরু নিয়েছি। অথচ খাজনা দিতে হলো ৫০০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত খাজনা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা থাকলেও ইজারদার অতিরিক্ত ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। যিনি বিক্রি করতে এসেছেন তার কাছ থেকে আরও ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বস্তুল গ্রামের মোঃ রাশিদুল ইসলাম ছাগল কিনতে এসে বলেন, আমি ছাগল কিনেছি ৫০০০ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু খাজনা নিয়েছেন ২৫০ টাকা। আগের চেয়ে ১০০টাকা বেশি।
উপজেলা প্রশাসনের হাটবাজার শাখা সূত্রে জানা যায়, প্রতি গরু ৪০০ টাকা ও প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়। গবাদিপশুর ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা টোল দেবেন। শুধু ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও গুল্টা হাটের ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরুর ১০০ টাকা এবং ছাগলের ৫০ টাকা আদায় করছেন। গুল্টা হাটের ইজারদার মো হালিম বলেন, ঈদের কারণে একটু বেশি আদায় করা হচ্ছে। কারণ এখানে অনেক ছেলে কাজ করছে এবং হাটটি অনেক টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
Please follow and like us: