সিরাজগঞ্জ পাবনা ও নাটোরের ৯টি উপজেলাজুড়ে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বিল চলন বিল। বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে পরিণত হয় বিলটি। তবে শুকনো মৌসুমে বিলটি ‘ফুড বাস্কেট’ হিসেবে কাজ করে। ফেব্রুয়ারিতে পানি শুকিয়ে গেলে বিলটিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ হয়। এপ্রিল থেকে শুরু হয় ধান কাটা। এসময় বিলজুড়ে চলে ধান কাটা ‘উৎসব’। চারদিকে শুধু ধান আর ধান এজন্যই চলনবিল কে শস্য ভান্ডার বলা হয়। সারা দেশের এক তৃতীয় অংশ খাদ্য শস্যের যোগান আসে এই বৃহত্তর চলনবিল থেকে। মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ ও তীব্র তাপদাহের মধ্যে ধান কাটছেন চলন বিলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে তুলনামূলক শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি,পাশাপাশি নারী এবং পুরুষ উভয় শ্রমিকের সংকট আছে। চলনবিলে বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ হয়, যেমন ব্রী ৯০, কাটারী, মিনিকেট, শুভলতা, ব্রী ২৮ ব্রী ২৯ সহ আরও অনেক জাত। দীর্ঘ খরায় ফলন একটু কম হলেও ঝড়-বৃষ্টি না থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটতে পেরে খুশি কৃষক শ্রমিক। তাড়াশ কৃষি অফিস বলছেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক তত্বাবধানে এবং কৃষকের সচেতনতায় কারেন্ট পোকার আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়া গেছে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত না থাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কৃষকের এবারে বেশী কষ্ট পেতে হচ্ছে তবুও কৃষক খুশি, কারণ ধান কাটা, মাড়াই, ব্যপারির নিকট ধান বিক্রি করা, ধান শুকিয়ে চাতালজাত, সিদ্ধ শুকানো পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়াই ভালো।